সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
কিছু কিছু বেসরকারি মেডিকেল কলেজ রোগী ভাড়া করে রাখে বলে গণমাধ্যমের সামনে দাবি করেছেন আশুলিয়ার নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. রুহুল কুদ্দুস রুমি। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নাইটিঙ্গেল মেডিকেল কলেজের ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
এদিকে রোগীর অভাবে হাতে কলমে কাজ শিখতে পারছেন না দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, কেউ পরিদর্শনে এলে ভাড়া করা লোক এনে রোগী সাজিয়ে বসিয়ে রাখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কেউ কেউ প্রেসক্রিপশন হাতে নিয়ে ঘুরেও বেড়ান। সময় শেষ হলে তারা আবার চলেও যান।
এদিন বিভিন্ন দাবিতে অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে রাখে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় প্রতিষ্ঠানটির কাছ থেকে বিভিন্নভাবে প্রতারণার শিকার হয়ে অন্য মেডিকেল কলেজে মাইগ্রেশনের আবেদন করেছে শিক্ষার্থীরা। এমনকি অধ্যক্ষ সহ মাত্র দুজন শিক্ষক আছে এই প্রতিষ্ঠানে।
ভাড়া করা রোগীর ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বীকার করে নেন অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. রুহুল কুদ্দুস রুমি। তিনি বলেন, ‘শুধু এখানে হয় না, কিছু কিছু প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে হয়। যখন মেডিকেল কলেজে ইন্সপেকশনে আসে তখন কিছু রোগী নিয়ে আসা হয় দেখানোর জন্য। এটা যারা ইন্সপেকশনে আসেন তারাও জানেন।’ কিছু কিছু মেডিকেল কলেজ যে এই কাজ করে তা কী আপনি দায়িত্ব নিয়ে বলছেন! এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি এটা বলছি।’
উল্লেখ্য, নিয়ম অনুযায়ী সব সুযোগ-সুবিধা না থাকায় ২০১৭ সালে আশুলিয়ার নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজসহ দেশের ৯টি মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে নাইটিংগেল মেডিকেল কলেজ উচ্চ আদালতে রিট করলে ছয় মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন আদালত। স্থগিত সময়ে সেই কলেজ শিক্ষার্থী ভর্তি করে। সে সময়ের ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরাই পড়েছেন বিপাকে। সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ বছর বছর বাড়িয়ে চলছে এই কলেজের কার্যক্রম।