নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় গ্রেপ্তার আরও দুই চিকিৎসক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তারা জবানবন্দি দেন।
স্বীকারোক্তি দেওয়া দুজন হলেন ডা. লুইস সৌরভ সরকার ও শর্মিষ্ঠা মণ্ডল। এ ছাড়া আরও তিন চিকিৎসককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন ডা. ইউনুচ জামান খান তারিন, ডা. নাজিয়া মেহজাবিন তিশা ও ডা. মুসতাহীন হাসান লামিয়া।
আজ বিকেলে এই পাঁচ চিকিৎসককে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের মধ্যে আসামি লুইস সৌরভ ও শর্মিষ্ঠা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার জুয়েল চাকমা তাদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী ডা. লুইস সৌরভের এবং ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী ডা. শর্মিষ্ঠার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। জবানবন্দি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া অন্য তিন আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
দেশের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষাগুলোতে নিয়মিত প্রশ্ন ফাঁসকারী সিন্ডিকেটের খোঁজ পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ২০ জুলাই মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়। এ মামলার তদন্তে নাম আসায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। এ নিয়ে এ মামলায় মোট ১৭ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেন।