ঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর বনশ্রী এলাকার নড়াই নদী থেকে এক ব্যক্তি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম মাহফুজুর রহমান বিপ্লব (৪৫)।
আজ শনিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে বনশ্রী বসুতি মা ও শিশু হাসপাতালসংলগ্ন নড়াই নদী থেকে ভাসমান অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে নৌ পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।
নিহত মাহফুজুর রহমানের বাড়ি ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মহেষপুর গ্রামে। বাবার নাম মৃত শামসুল আলম। চায়না প্রজেক্টে কাজ করতেন তিনি। বর্তমানে স্ত্রীকে নিয়ে বনশ্রী জি–ব্লকের ১ নম্বর রোডের একটি বাড়িতে থাকতেন।
ডেমরা রাজাখালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহাবুব আলম বলেন, ২৯ আগস্ট সকাল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। ৩০ আগস্ট রাতে খিলগাঁও থানায় তাঁর স্ত্রী নূরজাহান মিল্কি নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন। সবশেষ আজ শনিবার সকাল ৯টার দিকে স্বজনেরা খিলগাঁও থানাধীন বসুতি মা ও শিশু হাসপাতালের অপর পাশে নড়াই নদীর বাঁশের ব্রিজের নিচে পানিতে ভাসমান লাশ শনাক্ত করেন।
মো. মাহাবুব আলম বলেন, পানিতে ভাসতে থাকায় নৌ পুলিশে খবর দেওয়া হয়। বেলা দেড়টার দিকে সেখান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর মাথার পেছনে একটি জখমের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ছাড়া শরীর কিছুটা পচে ফুলে গেছে। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের পর তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নিহত মাহফুজুরের বড় ভাই মাহবুবুল আলম জুয়েল বলেন, ১৬-১৭ বছর আগে বিয়ে করেন তিনি। তবে তাঁর কোনো সন্তান নেই। ২৯ আগস্ট সকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি মাহফুজ। আজ সকালে লোক মারফত খবর পান, খিলগাঁও এলাকায় নদীতে একটি মরদেহ ভাসছে। পরে সেখানে গিয়ে ছোট ভাইয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন তিনি। তবে কারা তাঁকে খুন করতে পারে, সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি।