আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রায় ৮ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৬০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন মামলার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আক্তার হোসেন বলেন, চাঁদপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি দীপু মনি, পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ৫ কোটি ৯২ লাখ ২ হাজার ৫৩০ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। এ ছাড়া তাঁর নিজ নামে বিভিন্ন ব্যাংকে পরিচালিত মোট ২৮টি হিসাবে ৫৯ কোটি ৭৯ লাখ ৯২ হাজার ৭৩১ টাকা হস্তান্তর, রূপান্তর, স্থানান্তরের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করেছেন।
অন্যদিকে দ্বিতীয় মামলায় তাঁর স্বামী তাওফিক নেওয়াজের সঙ্গে দীপু মনিকেও আসামি করা হয়েছে। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে ১ কোটি ৯৬ লাখ ৩৯ হাজার ২০৫ টাকার আয়ের উৎসবহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আসামিদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা তৎসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা দুটি করা হয়েছে।
গত বছরের ১৯ আগস্ট সাবেক মন্ত্রী দীপু মনিকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ১৮ জুলাই চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা মামলায় সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তাঁর বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুকে আসামি করা হয়।
ইতিমধ্যে দীপু মনি, তাঁর স্বামী তাওফিক নেওয়াজ এবং বড় ভাই ডা. জে আর ওয়াদুদ টিপুর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে।