গাজীপুরের টঙ্গীতে নিখোঁজের তিন দিন পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে টঙ্গী নিমতলী বালুর মাঠ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত রোববার সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি।
পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
মৃত শিশুটির নাম জান্নাত (৭)। সে সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ থানার দশশিখা গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে। জান্নাত ওই এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণিতে পড়ত।
এ ঘটনায় জড়িত থাকায় খালাতো ভাই মোহাম্মদ জনি (১৫) ও তার বাবা ফজলু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারা টঙ্গীর শিলমুন এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা।
বুধবার পুলিশ জনি ও তার বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বালি চাপা দেওয়ার তথ্য জানায়। তাদের দেওয়া তথ্যে পুলিশ কিশোরকে সঙ্গে নিয়ে নিমতলী এলাকার বালুর মাঠ থেকে বালি চাপা দেওয়া অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ আরও জানায়, খালাতো বোনকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ওই কিশোর তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়। পরে বাবা ও ছেলে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে নিখোঁজ শিশুর সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার অপরাধ (দক্ষিণ) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খান বলেন, সাধারণ ডায়েরির পর জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের পর হত্যার দায় স্বীকার করেছে ওই কিশোর ও তার বাবা। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার অভিযুক্তকে কিশোর আদালতে তোলা হবে।