কিশোরগঞ্জের ভৈরবে হাত–পা ও চোখ বেঁধে ছয় বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মূল আসামি দিহান মিয়া (১৫) নামের এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে থানা-পুলিশ। গতকাল বুধবার রাতে পৌর শহরের পলতাকান্দা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে দিহানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ফুয়াদ রুহানী। গ্রেপ্তার আসামি দিহান পৌর শহরের পলতাকান্দা এলাকার কারণ মিয়ার ছেলে।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ৩১ মার্চ রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর শহরের মেঘনা নদীরপাড় ডিপোঘাট মুশকিলা হাটি এলাকায় ছয় বছরের এক ছেলেশিশু ধর্ষণের শিকার হয়। গতকাল দুপুরে দিহান মিয়াকে মূল আসামি করে দুজনের নামে মামলা করেন শিশুটির মা। এ ঘটনায় আরেক অভিযুক্ত আসামি পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার রতন মিয়ার ছেলে রিয়ান মিয়া (১৫)। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
থানা–পুলিশ আরও জানায়, গত ৩১ মার্চ রাতে বাড়ির পাশে রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় রিয়ান ও দিহান নামে দুই কিশোর শিশুটিকে আটকে ডিপোঘাট এলাকার মসজিদের একটি বাথরুমে নিয়ে হাত, পা ও চোখ বেঁধে ধর্ষণ করে। তখন শিশুটির চিৎকারে দুই কিশোর পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি তার পরিবারের কাছে বিষয়টি জানালে তাকে পরদিন ১ এপ্রিল প্রথমে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাকে কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। গতকাল দুপুরে ভৈরব থানায় অভিযোগ করা হলে ভৈরব শহর ফাঁড়ি পুলিশের উপপরিদর্শক এসআই মো. নূরুল হুদা ভূঁইয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই দিন রাতে মূল আসামি দিয়ানকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি খন্দকার ফুয়াদ রুহানী বলেন, শিশুটির পরিবারের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের তৎপরতা বেড়ে যায়। গতকাল রাতে মূল আসামি দিহানকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু ধর্ষণের বিষয়টি দিহান স্বীকার করেছে। তার সঙ্গে জড়িত আরেক আসামি রিয়ানকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।