নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঘূর্ণিঝড় রিমালের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির হিসাব বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করা হবে। আজ বুধবার সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে’-বিএসআরএফ সংলাপ অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান এই তথ্য জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সার্বিকভাবে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে একটি আন্তমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সব ক্ষতিকে একত্রিত করে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেওয়া হবে। প্রায় ৯০ শতাংশ হিসাব পাওয়া গেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, গতকাল (মঙ্গলবার) পর্যন্ত ৭ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব এসেছে। রিমালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাঁধের। এছাড়া উপকূলীয় মৎস্য সম্পদেরও বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। কোটি কোটি টাকার মাছের ঘের নষ্ট হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে অসংখ্য বেড়িবাঁধ, রাস্তাঘাট ও বাড়িঘর নষ্ট হয়েছে।
দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, শহরে ভূমিকম্প হলে উদ্ধার কাজের জন্য বিপুলসংখ্যক স্বেচ্ছাসেবী তৈরির কাজ চলছে। ভবনগুলো ধসে পড়লে সেগুলো পরিষ্কার করা ও মানুষকে উদ্ধারে ব্যাপকভাবে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
মহিববুর রহমান আরও বলেন, একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে পুরো জাতিকে দুর্যোগের বিষয়ে সচেতন করতে হবে। বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত। যে কোনো সময় ৮ মাত্রার ভূমিকম্প হতে পারে। এতে ঢাকা শহরের লাখ লাখ লোক আটকা পড়তে পারেন।
৮ মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার যে তথ্য দিয়েছেন, সেটা কীসের ভিত্তিতে বলেছেন জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্দিষ্ট গবেষণার ভিত্তিতেই আমি এমন কথা বলেছি। এ নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভূমিকম্পে ভয়ের কারণ নেই। এমন পরিস্থিতি বহুদেশে আসছে। তুরস্কে ভূমিকম্প হয় কিন্তু তারা দুর্যোগ সহনীয় অবকাঠামো ও সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে। যে কারণে সমস্যা এলে তা সমাধান করার সক্ষমতা তারা তৈরি করেছেন।