ঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। কামরাঙ্গীরচর ট্যানারি পুকুরপাড় জামাল দেওয়ান গলির বাদশা মিয়ার বাড়িতে আজ মঙ্গলবার এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের অভিযোগ নিহত তরুণীর স্বামী তাঁকে হত্যা করেছেন।
নিহত তরুণী মেহেরুন্নেসা মীম (১৭) স্বামী সোহেলসহ ওই এলাকায় ভাড়া থাকতেন। ঘটনার পর থেকে সোহেল পলাতক রয়েছেন।
আজ বেলা সোয়া ৩টার দিকে মীমকে অচেতন অবস্থায় পরিবারের লোকজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবারের লোকজন জানান, মীমদের বাসার পাশের বাসায় ভাড়া থাকেন মীমের বড় বোন তন্বিকা ও তাঁর পরিবার।
হাসপাতালে নিহতের বড় বোন তন্বিকা আক্তার জানান, চার বছর আগে সোহেল নামে ওই যুবকের সঙ্গে মীমের বিয়ে হয়। তাঁদের ঘরে মাহিমা নামে দুই বছরের একটি সন্তান আছে। মীমের শ্বশুরবাড়ি শেরপুর জেলায়। শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন তাঁরা। দুই মাস আগে কামরাঙ্গীরচরে বাসা ভাড়া নেন মীম।
তন্বিকা বলেন, আজ দুপুরে গোসলের সময় সোহেল মীমকে বাথরুমে ডেকে নিয়ে যান। একপর্যায়ে বাথরুম থেকে বাইরে বেরিয়ে তিনি সবাইকে বলেন, তাঁর স্ত্রী অসুস্থ হয়ে বাথরুমে পড়ে আছেন। ফার্মেসি থেকে ওষুধ আনতে যাচ্ছেন তিনি। এরপর সোহেল আর ফিরে আসেননি। তখন পরিবারের লোকজন বাথরুমে গিয়ে দেখেন মীম অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত মীমকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে মারা যান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ মিয়া জানান, অচেতন অবস্থায় ওই তরুণীকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবার থেকে অভিযোগ করা হয়, নিহতের স্বামী তাঁকে গলাটিপে হত্যা করেছেন। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি কামরাঙ্গীরচর থানা–পুলিশকে জানানো হয়েছে।