নরসিংদীর রায়পুরার মাহমুদাবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে মালবাহী দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুর্ঘটনাস্থলেই দুই চালকের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ট্রাকচালকের এক সহকারীকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
আজ শনিবার সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টায় মাহমুদাবাদের নামাপাড়া পুরোনো ব্রহ্মপুত্র ব্রিজের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ট্রাকচালকেরা হলেন—আবু হাশেম (২১) ও মো. মফিজুল পাটোয়ারী (২৮)। আবু হাশেম টাইলসবোঝাই ট্রাকের চালক ছিলেন। তিনি বগুড়া শিবগঞ্জের বালিকান্দা গ্রামের আবদুল আলীমের ছেলে। আর মফিজুল ভোলার চরফ্যাশনের উত্তর চরমণ্ডল গ্রামের মোসলেম উদ্দিন পাটোয়ারীর ছেলে।
এদিকে ট্রাকচালকের সহকারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় ভৈরব হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। পরে তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছে, শনিবার সকালে আনুমানিক সাড়ে ৬টায় ঢাকা–সিলেট মহাসড়কের মাহমুদাবাদ নামাপাড়া পুরোনো ব্রহ্মপুত্র ব্রিজের পাশে দুটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটেছে। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে বগুড়া থেকে ছেড়ে আসা টাইলসবোঝাই ট্রাকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় দুটি ট্রাকেরই সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই দুই ট্রাকের চালক চাপা পড়ে নিহত হন। পরে গুরুতর আহত চালকের সহকারীকে পুলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় ভৈরব হাসপাতালে পাঠায়। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ‘মহাসড়কে সিএনজিসহ নিষিদ্ধ যানবাহনগুলো পুলিশের সামনেই চলাচল করে। সিএনজির কারণেই প্রায় দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে। কিছুদিন পর পর ছোট-বড় দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যায়। এ রকম দুর্ঘটনা থেকে মুক্তি চাই।’
ভৈরব ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ মো. আজিজুর হক বলেন, ‘সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় চাপাপড়া নিহত দুই চালকের মরদেহ উদ্ধার করি।’
ভৈরব হাইওয়ে থানার পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সকাল আনুমানিক সাড়ে ৬টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দীর্ঘ তিন ঘণ্টার চেষ্টায় নিহত দুই চালকের মরদেহ ও দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া ট্রাক দুটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এসংক্রান্ত পরবর্তী আইন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, গত ছয় মাসে ওই এলাকায় একই স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারানো কাভার্ড ভ্যানের চাপায় সবজির পাঁচজন ক্রেতা-বিক্রেতাসহ ১০ জন নিহত হন।