জাবি প্রতিনিধি
প্রাক্তন ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল ছাড়াতে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন। আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া, অনিয়মিত ও মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল না ছাড়লে সনদ বাতিলসহ রাষ্ট্রীয় আইনে মামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার নতুন প্রশাসনিক ভবনের কাউন্সিল কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম। উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মো. মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহাম্মদ মোস্তফা ফিরোজ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক রাশেদা আখতার, রেজিস্ট্রার মো. আবু হাসান ও বিভিন্ন অনুষদের ডিন।
উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম বলেন, ‘হলগুলোতে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফেরাতে সব ধরনের প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অন্য হলের শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে তাদের নামে বরাদ্দকৃত হলে যেতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের অনিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বের করা হয়েছে।
‘এ ছাড়া সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুসারে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া, অনিয়মিত এবং মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আগামী ১৭ এপ্রিলের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের শিক্ষা সনদ বাতিল এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘অধিকাংশ অবৈধ, মেয়াদোত্তীর্ণ এবং অনিয়মিত শিক্ষার্থীরা হল ছেড়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে কিছুসংখ্যক মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থী এখনো হলে অবস্থান করছে। কিন্তু তারা ছাত্র, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতা-কর্মী হলেও অনিয়মিত বা মেয়াদোত্তীর্ণ হলেই তাদের আবাসিক হল ছাড়তে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেবে না।’
উপাচার্য নূরুল আলম বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয় এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে সিন্ডিকেট সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশের ভিত্তিতে ঘটনায় জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চিরতরে বহিষ্কার এবং তাদের শিক্ষা সনদ বাতিল করা হয়েছে।’
পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের শিক্ষকের চাকরিচ্যুতির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগ যথাযথ কমিটি কর্তৃক তদন্তের পর অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তার নাম প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং তিনি ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসের বাসা ছেড়ে চলে গেছেন।’