হোম > সারা দেশ > ফরিদপুর

ওবায়দুর হত্যা: গ্রেপ্তার ইউপি চেয়ারম্যানকে বিশেষ অতিথি করে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণপত্র

ফরিদপুর প্রতিনিধি

শাহ মুহাম্মদ আলতাফ হুসাইন। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের কানাইপুরে আলোচিত ওবায়দুর খান (২৮) হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া এক আসামিকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণপত্র দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। তবে প্রতিষ্ঠানের প্রধান বলছেন, স্থানীয় রাজনৈতিক চাপে তাঁকে অতিথি করা হয়েছে।

জানা গেছে, ২৭ জানুয়ারি জেলা সদরের কানাইপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যে গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) প্রতিষ্ঠানের প্রধান অধ্যক্ষ শাহ মো. শাহজাহান মোল্যার শুভেচ্ছান্তে আমন্ত্রণপত্র করা হয়েছে। ওই আমন্ত্রণপত্রে প্রধান অতিথি হিসেবে অকোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান এবং সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমানের নাম রয়েছে।

এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মুহাম্মদ আলতাফ হুসাইনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে তিনি ১৬ জানুয়ারি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন। আমন্ত্রণপত্রে হত্যা মামলার আসামিকে দেখে ক্ষোভ জানান স্থানীয়রা। এ ছাড়াও ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করার জন্য রাজনৈতিকভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। এমনকি অতিথি না করলে অনুষ্ঠান বন্ধেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘ওবায়দুরকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়। সেই মামলার অন্যতম হুকুমের আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। তাঁকে কীভাবে স্কুলের অনুষ্ঠানে অতিথি করা হয়। বিচারের আগেই তাঁকে কেন শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে। আমরা কোনো হত্যাকারীকে স্কুল-কলেজের অনুষ্ঠানে দেখতে চাই না।’

কানাইপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ শাহ মো. শাহজাহান মোল্যা জানান, স্থানীয় বিএনপির নেতারা চেয়ারম্যানকে অতিথি করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। তবে তিনি ওই বিএনপি নেতাদের নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির নেতাদের চাপে চেয়ারম্যানকে অতিথি করে আমন্ত্রণপত্র করা হয়েছে। বিষয়টি ইউএনওকে জানিয়েছি।’

আমন্ত্রণপত্র। ছবি: সংগৃহীত

তবে হত্যা মামলার আসামির নাম আমন্ত্রণপত্র থেকে তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান জানিয়েছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আজই আমার নজরে এসেছে। পরে অধ্যক্ষকে জানানো হয়েছে, ব্যানার এবং আমন্ত্রণপত্রে আসামিদের নাম না রাখার জন্য। এ ছাড়া অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদেরও একই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, ১০ জানুয়ারি বিকেলে কানাইপুর ইউনিয়নের ঝাউখোলা গ্রামের বিল্লাল খানের ছোট ছেলে ওবায়দুর খানকে তুলে নিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয় ওই ইউপি চেয়ারম্যানের ছোট ভাই খায়রুজ্জামান খাজার নেতৃত্বে। পরে ওইদিন রাতে ঢাকায় নেওয়ার পথে মারা যান ওবায়দুর। এ ঘটনার পরের দিন রাতে খায়রুজ্জামান খাজাকে প্রধান ও ভাই শাহ মোহাম্মদ আলতাফ হুসাইনকে হুকুমের আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন বিল্লাল খান।

এ মামলায় এখন পর্যন্ত এজাহারনামীয় তিনজনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদউজ্জামান নিশ্চিত করেন। তবে এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন শীর্ষ সন্ত্রাসীখ্যাত খায়রুজ্জামান খাজা।

৩০ কার্যদিবসের মধ্যে হাদি হত্যার বিচার শেষ করার দাবি

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে আটক ঢাবি শিক্ষার্থীর কারাদণ্ড

রাজনীতিতে পরস্পরের বিরুদ্ধে গালাগালিতে শত্রুরা উপকৃত হয়: ড. মাহবুব উল্লাহ

প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় ১৫ জন কারাগারে

জাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, আটক ১

শিক্ষার্থী হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক এমপি বাদলকে

দিপু চন্দ্র দাস ও শিশু আয়েশা হত্যার প্রতিবাদে জাতীয় শ্রমিক শক্তি বিক্ষোভ সমাবেশ

আহমদ ছফার নামে রাস্তার নামকরণ করল ডিএনসিসি

লক্ষ্মীপুরে বিএনপির নেতার ঘরে আগুন: আইসিইউতে চিকিৎসাধীন মেয়েকে দেখতে বার্ন ইনস্টিটিউটে রিজভী

হাদি হত্যা: মোটরসাইকেলের মালিক সন্দেহে গ্রেপ্তার সেই হান্নানের জামিন