পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, মিলাদ ও দোয়ার মধ্য দিয়ে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকালে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. ফরহাদ হোসেন।
মওলানা ভাসানীর পরিবার, মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দিবসটি পালন করছে। দরবার হলের চারপাশে তিন দিনব্যাপী মেলা বসেছে।
১৯৭৬ সালের এই দিনে আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। অত্যন্ত সাদাসিধে নির্মোহ জীবনের অধিকারী মওলানা ভাসানী সারা জীবন অবহেলিত মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম করে গেছেন। জাতীয় সংকটে জনগণের পাশে থেকে শোষণ ও বঞ্চনাহীন গণতান্ত্রিক দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা ছিল।
১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও ভাসানী তাঁর জীবনের বড় অংশই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। মওলানা ভাসানী তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী প্রধান নেতাদের একজন ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীর সভাপতিও ছিলেন তিনি।