মানিকগঞ্জের ঘিওরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে টাকা বিতরণের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভাই ইউপি চেয়ারম্যানকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। ভোটের আগের রাতে (সোমবার) উপজেলার বালিয়াখোঁড়া ইউনিয়নের জোকা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে প্রাইভেট কারসহ তাঁকে থানায় নিয়ে যায়।
কাপ-পিরিচের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের ভাই ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ টাকা বিতরণের কথা অস্বীকার করলেও আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা স্বীকার করেছেন। খবর পেয়ে আরেক প্রার্থী মাহবুবুর রহমান জনির লোকজন গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থলে এলে তাঁদের গাড়িও থানায় নেওয়া হয়।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১দিকে উপজেলার বালিয়াখোঁড়া ইউনিয়নের জোকা এলাকায় নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছিলেন কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান। এ সময় তাঁর গাড়ি আটক করে স্থানীয় জনতা।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়। একই স্থান থেকে শালিক প্রতীকের আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবুর রহমান জনির প্রাইভেট কারও জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে নানা সমালোচনা চলছে। সেই ভিডিওতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মাহবুবুর রহমান জনির এক কর্মীকে বলতে দেখা যায়, কাপ-পিরিচ প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমানের ভাই পয়লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার নিয়ে টাকার বিনিময়ে ভোট কেনার জন্য এসেছেন। তাঁদের স্থানীয় জনতা আটক করেছে। তাঁদের সঙ্গে অস্ত্রও রয়েছে। তবে সেই ভিডিওতে টাকা ও অস্ত্রের কথা অস্বীকার করতে দেখা গেছে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।