ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসেওয়ের টোল আদায়ের দ্বিতীয় দিনে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় কোন ধরনের যানজট লক্ষ্য করা যায়নি। আজ শনিবার সকাল থেকেই স্বাভাবিকভাবেই যানবাহন টোল প্লাজায় প্রবেশ করেছে এবং টোল দিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে যাচ্ছে। শুক্রবার (১ জুলাই) থেকে এই এক্সপ্রেসেওয়ের টোল আদায় শুরু করেছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।
৫৫ কিলোমিটার এই এক্সপ্রেসওয়ের নাম দেওয়া হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মহাসড়ক। টোল আদায়ে অপারেটর হিসেবে কাজ করছে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে (কেইসি)।
এক্সপ্রেসওয়ের ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় আজ শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, গাড়ির চাপ কম থাকায় টোল প্লাজায় দীর্ঘ যানজট নেই। গাড়ি আসছে, টোল দিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চলে যাচ্ছে। তবে টোল বুথে সিস্টেমের মাধ্যমে ম্যানুয়ালি টোল নেওয়া হচ্ছে। যার কারণে প্রতিটা বুথেই কিছুটা সময় লাগছে টোল নিতে। সে ক্ষেত্রে যানবাহনের চাপ বাড়লে যানজট লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে। আজ ১০টা টোল বুথ চালু। এর মধ্যে ৫টা ঢাকা থেকে পদ্মাসেতুতে যাওয়া যানবাহনের জন্য এবং বাকি ৫টা পদ্মাসেতু থেকে এসে ঢাকা যাওয়া যানবাহনের জন্য।
তবে এক্সপ্রেসওয়ের নতুন টোলে পরিবহন চালকেরা খুশি নন। এই বিষয়ে সোহাগ পরিবহনের চালক মো. হেলাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগের চেয়ে ১৬৫ টাকা টোল বেড়েছে বাসে। দক্ষিণাঞ্চলের একটি বাসকে পদ্মা সেতুতে এবং এক্সপ্রেসওয়েতে আলাদা করে টোল দিতে হচ্ছে। বাসের বাড়তি খরচ সবকিছুই যাত্রীর ওপরে গিয়েই পড়ছে। এর ফলে আগের চেয়ে ভাড়াও আমাদের বাড়াতে হয়েছে।’
এদিকে ৫৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়েতে ট্রেইলারে ১৬৯০ টাকা, হেভি ট্রাক ১১০০ টাকা, মিডিয়ার ট্রাক ৫৫০ টাকা, বড় বাস ৪৯৫ টাকা, মিনি ট্রাক ৪১৫ টাকা, মিনিবাস/কোস্টার ২৭৫ টাকা, মাইক্রোবাস ২২০ টাকা, ফোর হুইল চালিত যানবাহন ২২০ টাকা, সিডান কার ১৪০ টাকা, মোটরসাইকেলের ৩০ টাকা টোল দিতে হচ্ছে। তবে এই ৫৫ কিলোমিটারের মধ্যে ঢাকা থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৫ কিলোমিটার টোল নেওয়া হচ্ছে ধলেশ্বরী টোল প্লাজায় এবং মাওয়া থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের টোল নেওয়া হচ্ছে ভাঙ্গা টোল প্লাজায়।