অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক ও লক্ষ্মীপুর–৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক পিংকুর দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সরকার পতনের পর সাবেক রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
দুদকের একজন কর্মকর্তা অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্তের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন।
দুদকের অভিযোগ থেকে জানা যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রেলওয়ের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে টেন্ডার, নিয়োগ বাণিজ্য, বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের প্রাথমিক সত্যতাও পেয়েছে দুদক।
অন্যদিকে লক্ষ্মীপুর–৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মাসাৎ করে বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন।
দুদকের অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহারর করে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পিংকু। চাঁদাবাজি, নিয়োগ বাণিজ্য, দলীয় পদ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন তিনি।
সূত্রটি জানায়, সাবেক এই দুই সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের অর্জনের অভিযোগসমূহ দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের তথ্যানুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে সত্যতা পেয়েছে কমিশন। প্রাথমিক সত্যতা থাকায় অভিযোগগুলো অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও জানায় সূত্রটি।