মাদক মামলায় অর্থের বিনিময়ে অন্য আসামির জেল খাটানো যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অষ্টম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আমিনুল ইসলাম কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
এর আগে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। শুনানি শেষে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। নাজমুলের আইনজীবী প্রাণ নাথ কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গতকাল রোববার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী আজ মাদক মামলায় সাত বছরের সাজাপ্রাপ্ত নাজমুল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
২০২০ সালের আগস্ট মাসে উত্তরার একটি বাসায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ আনোয়ার হোসেন নামে একজনকে আটক করে। তবে পালিয়ে যান চক্রের মূল হোতা যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসান।
এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। বিচারে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় পলাতক নাজমুল হাসানকে আট বছরের কারাদণ্ড দেন বিচারিক আদালত।
নাজমুল ঢাকার উত্তরার ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা। তিনি অর্থের বিনিময়ে নিজের পরিচয়ে মিরাজুল নামে একজনকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করান। তাঁর পরিবর্তে মিরাজুল জেল খাটতে থাকেন। অন্যদিকে বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হয়।
বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। পরে এ বিষয়ে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ হাইকোর্টে আবেদন জানান। পরে বিষয়টি শুনানি হয়। হাইকোর্ট সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক, আইনজীবী ও কারা কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট। ওই ব্যাখ্যা দেওয়ার পর গতকাল শুনানি শেষে হাইকোর্ট যুবলীগ নেতাকে সাজার মামলায় আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।