
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্টিল মিলে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ আলমগীর হোসেন (৩০) নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে আলমগীরের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় মারা গেলেন চারজন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন আরও তিনজন।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে আলমগীরের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, আলমগীরের শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। মৃতদেহটি মর্গে রাখা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার গাউছিয়া সাউঘাট এলাকার আরআইসিএল স্টিল মিলে লোহা গলানোর ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে গলিত তরল লোহা শ্রমিকদের ওপর ছিটকে পড়লে গুরুতর দগ্ধ হন সাতজন। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান শংকর (৪০) নামে একজন। আর গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে মারা যান ইলিয়াস আলী (৩৫)। আজ সকাল সোয়া ১০টার দিকে মারা যান নিয়ন নামে একজন।
আলমগীরের খালাতো ভাই মো.ফারুক জানান, আলমগীরের বাড়ি হবিগঞ্জের আজমেরিগঞ্জ উপজেলার জলশুকা গ্রামে। তাঁর বাবার নাম আজাদ আলী। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শাহীবাজার এলাকায় স্ত্রী নিপাসহ পরিবার নিয়ে থাকতেন তিনি। গত দুই মাস ধরে স্টিল মিলে কাজ করতেন আলমগীর।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ৯৭ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে জুয়েল, ৯৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে রাব্বি এবং ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইব্রাহিম ভর্তি আছেন। তাঁদের তিনজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।
কারখানাটির সুপারভাইজার শফিকুল ইসলাম জানান, তাঁরা কারখানায় ভাট্টিতে লোহা গলানোর কাজ করছিলেন। ভাট্টির আশপাশে ১৫ থেকে ১৬ জন শ্রমিক ছিলেন। হঠাৎ করেই ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়ে গলিত লোহা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে তাঁরা দগ্ধ হন। তাঁদের উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়।