হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পাল্টে গেছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ঘাটের চিত্র। আগে ঈদের সময় একটু যাওয়ার পরপরই জ্যামে বসে থাকতে হতো। সেই দৃশ্য এখন আর নেই। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লোকাল পরিবহনে ঢাকার গাবতলী থেকে ছেড়ে আসা সেলফি পরিবহন, যাত্রীসেবা, দ্রুতগতি পরিবহন এবং ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকা থেকে ছেড়ে আসা নীলাচল পরিবহনে আসা যাত্রীর চাপ ঘাট এলাকায় বেড়েছে। এ ছাড়া গাজীপুর ও সাভার থেকে লোকাল পরিবহন ভাড়ায় নিয়ে ঘাট এলাকায় আসছেন যাত্রীরা।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পাটুরিয়া ঘাট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, দূরপাল্লার বাস বা ছোট গাড়ির কোনো সিরিয়াল না থাকায় যানবাহন আসামাত্রই সরাসরি ফেরিতে উঠে যাচ্ছে। ট্রাক টার্মিনালে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক থাকলেও তেমন অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। আগের দিনের চেয়ে ঘাট এলাকায় ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। তবে নৌরুটে পর্যাপ্ত ফেরি চলাচল করায় ভোগান্তি ছাড়াই পার হওয়া যাচ্ছে।
মাগুরার যাত্রী আহসান হাবিব বলেন, ‘সেলফি পরিবহনে করে গাবতলী থেকে দুই ঘণ্টায় পাটুরিয়া ঘাটে এসেছি। কোনো ধরনের ভোগান্তি নেই। আগে তো জ্যামে অনেক সময় বসে থাকতে হতো। তবে রাস্তায় অনেক যাত্রী দেখেছি।’
সেলফি পরিবহনের চালক শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘প্রতিবছর ঈদের এক সপ্তাহ আগে থেকে মেলা চাপ থাকত। ঈদের আর দুই দিন বাকি, তবু যাত্রীর তেমন কোনো চাপ নেই। গতকাল বুধবারও যাত্রী ছিল না। তবে আজ সকাল থেকে সেলফি পরিবহনসহ লোকাল পরিবহনে অনেক যাত্রী আসছেন। আজ কিছুটা হলেও ঈদ মনে হচ্ছে।’
লঞ্চঘাটের পরিচালক পান্না লাল বলেন, ‘সেলফি, নীলাচল ও লোকাল পরিবহনে যাত্রীরা এসে আমাদের লঞ্চ ও ফেরিতে পারাপার হন। আজ যাত্রীর চাপ বেড়েছে। ঘাটে ২২টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী পারাপার করছি।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, ঘাট এলাকায় যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের কোনো ভোগান্তি নেই। স্বাভাবিকভাবে পারাপার হচ্ছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ২১টি ফেরির মধ্যে ১৮টি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে।