Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

আব্বা আরও ১৫ লাখ টাকা দিতেই হবে, নাইলে মাইর‍্যা ফেলবে—মানবপাচারের শিকার ইতালিগামী যুবকের ফোন

ফরিদপুর প্রতিনিধি

আব্বা আরও ১৫ লাখ টাকা দিতেই হবে, নাইলে মাইর‍্যা ফেলবে—মানবপাচারের শিকার ইতালিগামী যুবকের ফোন

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুরের টিটুল মিয়া জমি বিক্রিসহ ধার-দেনা করে ১২ লাখ টাকাসহ ছেলেকে দালালের হাতে তুলে দেন ইতালি পাঠানোর জন্য। দুই মাস ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁর মোবাইল ফোনের ইমোতে কল আসে। ফোনের ওপার থেকে ছেলের আর্তনাদ-‘আব্বা আরও ১৫ লাখ টাকা দিতেই হবে, আর নাইলে আমাকে মাইর‍্যা ফেলবে! আব্বা কবে টাকা দিবা? ওরা আমাকে খাবারও দেয় না।’ 

গত ১২ দিন যাবৎ দু-এক দিন পরপর এভাবে মোবাইল ফোনে ইমো নম্বরে কল দিয়ে কৃষক টিটুল মিয়ার কাছে ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে টাকা দাবি করছে প্রতারক চক্র। এমন পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি। বলা হচ্ছে তাঁর ছেলে লিবিয়ায় রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে, টাকা না দিলে একমাত্র ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে জানাচ্ছে ভুক্তভোগী ওই পরিবারটি। 

আজ রোববার সরেজমিনে জানা যায়, ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রামকান্তপুর গ্রামের টিটুল মিয়ার একমাত্র ছেলে শাকিল মিয়া (২৪)। একই গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসী মুকুল ঠাকুর নামের এক ব্যক্তির প্ররোচনায় ইতালি যাওয়ার পরিকল্পনা করেন শাকিল। পরে তাঁর পরিবার জমি বিক্রিসহ উচ্চহারে সুদের বিনিময়ে ঋণ নিয়ে মুকুলকে ১২ লাখ টাকা দেন। এরপর শাকিলকে সঙ্গে নিয়ে ইতালির উদ্দেশে পাড়ি জমান মুকুল। 

শাকিলের বড় বোন বৃষ্টি আক্তার আজকের পত্রিকাকে জানান, গত ৪ জানুয়ারি প্রথমে শাকিলকে ভারতে নেওয়া হয়। পরে দুবাই হয়ে ১৪ জানুয়ারি লিবিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গিয়ে একটি ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছিল। কয়েকদিন স্বাভাবিক কথাবার্তাও হয়েছে। কিন্তু গত ১২ দিন যাবৎ অমানবিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। এমনকি খাওয়া-দাওয়া বন্ধ রেখেছে চক্রটি। নির্যাতনের সময় কল দিয়ে শোনানো হচ্ছে বাড়িতে। নির্যাতনকারীর বাংলায় কথা বলছেন। এখন তাঁর মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করছে চক্রটি। 

ভুক্তভোগী পরিবারের মোবাইলে ইমো নম্বরে গ্রুপ থেকে কল করা হয়। ছবি: সংগৃহীত ভুক্তভোগী শাকিলের বাবা টিটুল মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এত টাকা কই পাব! যা ছিল শেষ সম্বলটুকু বিক্রি করে, চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ১২ লাখ টাকা জোগাড় করো আগেই তো পাচারকারী মুকুলের হাতে তুলে দিয়েছি। এখন আমি কই যাব?’ 

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বালী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। এখন তাঁকে উদ্ধারের জন্য পরিবার যদি কোনো সহযোগিতা চায়, তাহলে সহযোগিতা করা হবে। ঢাকায় অ্যাম্বাসিতে যোগযোগের ক্ষেত্রে সহযোগিতা করা হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘ওই পরিবার যদি অভিযোগ দেয়, তাহলে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তবে এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। ভুক্তভোগীর পরিবার থেকে অভিযোগ দিলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘মুকুল ঠাকুরের নামে মানবপাচারের কোনো মামলা আছে কি না, আমার জানা নেই। তবে, খোঁজ নিয়ে বলা যাবে।’

অস্ত্রের সঙ্গে গুলির অমিল, থমকে গেল প্রশিক্ষণ

বন্ধের পথে শিল্প উৎপাদন

পারভেজ হত্যাকাণ্ডে আলোচিত সেই দুই ছাত্রীকে আটক করতে জুরাইনে অভিযান

এবার যেকোনো মূল্যে ধান–চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে সরকার : খাদ্যসচিব

অটোরিকশায় না চড়া ও ফুটপাত থেকে কেনাকাটা না করার আহ্বান ডিএনসিসি প্রশাসকের

পারভেজ হত্যা: আদালতে দুই আসামির দায় স্বীকার

প্রবাসীর স্ত্রীর ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবি, যুবক গ্রেপ্তার

মডেল মেঘনা আলমের জামিন নামঞ্জুর

মিরপুরে পথচারী পারাপারে সিগন্যাল লাইট চালু

চিকিৎসার দাবিতে গণ-অভ্যুত্থানে আহতদের মানববন্ধন