ঈদের ছুটি শেষ হলেও এখনো সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে তেমন একটা ভিড় নেই যাত্রীদের। তবে ভোরে সদরঘাট থেকে লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে। ঈদে যাঁরা ব্যস্ততার কারণে ছুটি পাননি, তাঁরা এখন ঢাকা ছাড়ছেন। আবার অনেকে ভিড় এড়াতে ঈদের পর ঢাকা ছাড়ছেন। আর যাঁরা বাড়তি ছুটি পাননি, তাঁরা আজকে দক্ষিণাঞ্চল থেকে ঢাকা ফিরছেন। সদরঘাটে নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে ৫০ সদস্যের পুলিশের টিম।
আজ সোমবার সকাল থেকে সদরঘাট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের কন্ট্রোল রুমের বার্দিং সারেং মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, আজ (সোমবার) রাত ৩টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, শরিীতপুর, চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চল থেকে সদরঘাটে ৫০টি লঞ্চ এসেছে। আর সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ২৩টি লঞ্চ সদরঘাট থেকে দক্ষিণাঞ্চলের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
লঞ্চে যাত্রী কম উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের ছুটি আজকে শেষ। যাঁরা বাড়তি ছুটি নেননি, তাঁরা আজকে আসতে শুরু করেছেন। তবে অনেকেই বাড়তি ছুটি নেননি। তাই যাত্রীর চাপ কম। তবে দুই-এক দিন পর যাত্রীর চাপ বাড়বে।’
পটুয়াখালীর যাত্রী মো. আতিকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মিরপুর-১-এ একটা মুরগির দোকানে কাজ করি। ঈদের দিনও দোকান খোলা ছিল। তাই যাওয়া হয়নি। এখন ৫ দিনের ছুটিতে বোন-দুলাভাইয়ের সঙ্গে বাড়ি যাচ্ছি। বিকেল ৫টায় লঞ্চ ছাড়বে। এখন তো ভিড় কম, তাই ভালোভাবে যেতে পারব। বাসের চেয়ে লঞ্চে জার্নি অনেক আরাম, তাই লঞ্চে যাচ্ছি।’
সদরঘাট-হাতিয়া রুটের লঞ্চ এমভি ফারহান-৪-এর লস্কর মো. জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাল রাতে হাতিয়া থেকে আসছি। জেনারেটর নষ্ট হওয়ায় তা ঠিক করা হয়েছে। আজ বিকেল ৫টায় আবার হাতিয়া যাব। তবে এখনো যাত্রীর চাপ অনেক কম।’
সদরঘাট নৌ থানার ডিউটি অফিসার এএসআই ধনঞ্জয় চন্দ্র রায় আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন মলম পার্টি বা ছিনতাইয়ের কোনো ঘটনা আর ঘটছে না। সদরঘাটের লঞ্চঘাটে নিরাপত্তা নিশ্চিতে অফিসারসহ ৫০ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্বরত আছেন। সকালে পুলিশ, কোস্ট গার্ড, আনসার বিআইডব্লিউটি-এর সহায়তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় ফায়ার স্টিংগার, কাগজপত্র ঠিক না থাকায় তিনটি লঞ্চকে ৯ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।’