সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজায় যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সবার সহযোগিতা ও ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। আজ রোববার সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সদস্যসচিব ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানান তারা। এ ছাড়াও বিবৃতিতে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদসহ ৬৮ জন বিশিষ্ট নাগরিক স্বাক্ষর করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, আসন্ন দুর্গাপূজায় কোনো অঘটন যাতে না ঘটে সে জন্য সংশ্লিষ্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রাণিত সম্প্রীতি বাংলাদেশ। কেবল সরকার, প্রশাসন বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নয়, এগিয়ে আসতে হবে শুভবোধ সম্পন্ন বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী সকল নাগরিককে। নিজ নিজ এলাকায় গড়ে তুলতে হবে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শাণিত সাধারণ জনগণের সবল ঐক্য। ধর্মান্ধ, উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে আধুনিক মনস্ক সংস্কারমুক্ত তরুণ-যুবকের। মনে রাখতে হবে অসাম্প্রদায়িক ভাবমূর্তি বিনষ্ট হলে বিশ্ব মাঝে সকল অর্জন ধূলিসাৎ হবে।
তারা আরও বলেন, সব বাঙালির কাছে এই উৎসব চিরায়ত ঐতিহ্য ও ধর্মীয় সংস্কৃতির মেলবন্ধনে এক অনুপম প্রীতিময় আনন্দ উৎসব। অতীত থেকেই সবার সম্মিলিত প্রয়াসে দুর্গাপূজা উৎসব আকারে পালিত হয়ে আসছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বাঙালির হাজার বছরের অসাম্প্রদায়িক চেতনা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সবাই এই ভূমিতে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করতে পারেন। তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বুকের রক্ত ঢেলে দেয়। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা পবিত্র সংবিধানে ধর্মনিরপেক্ষতাকে অতীব গুরুত্বসহ সন্নিবেশিত করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার।’