শর্ত অনুযায়ী যেসব ইজারাদার কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্য অপসারণ করেননি, তাঁদের জামানত কেটে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।
আজ শনিবার দুপুরে নগর ভবনে ঈদ ও ঈদ-পরবর্তী বর্জ্য অপসারণ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘ইজারার শর্ত অনুযায়ী হাটের বর্জ্য ইজারাদারদেরই পরিষ্কার করার কথা। সে অনুযায়ী তাঁদের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছিল। কিন্তু হাটের বর্জ্য অপসারণ না করে এসব ইজারাদার আমাদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছেন। তাই জামানতের তাদের যে টাকা জমা আছে তা কর্তন করা হবে।’
বংশালসহ পুরান ঢাকার বেশ কিছু এলাকায় আজকেও পশুর বর্জ্য দেখা গেছে—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসির এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এগুলো বিচ্ছিন্ন ঘটনা। তবে খবর দেওয়া হলে সঙ্গে সঙ্গে এগুলো অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে। আমরা কাউন্সিলরদের কাছ থেকে যেসব তথ্য পেয়েছি এবং বর্জ্য মনিটরিংয়ের জন্য যে আলাদা টিম কাজ করেছে, তাদের তথ্য অনুযায়ী শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। কোরবানি-পরবর্তী খাবারের বর্জ্যও কিন্তু এখন জমা হচ্ছে। যে বর্জ্যই হোক, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ দক্ষিণ সিটিতে ৩২ হাজার কেজি ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে নগর ভবন থেকে জানানো হয়েছে, আজ বেলা আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৭ হাজার ৮৬৫ দশমিক ২৬ টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে ৪ হাজার ৫২টি ট্রিপে এসব বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।