মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সন্তান প্রসবের অস্ত্রোপচারের পর নবজাতক চুরির অভিযোগ উঠেছে। প্রসূতির স্বজনদের অভিযোগ, অন্তঃসত্ত্বাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আলট্রাসনোগ্রাম করে চিকিৎসকেরা গর্ভে দুটি সন্তান রয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু অস্ত্রোপচারের পর পরিবারের কাছে একটি নবজাতক দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে আজ বুধবার কালকিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন প্রসূতির স্বামী ফয়সাল সরদার। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার ভুরঘাটা নিরাময় হাসপাতালে নবজাতক চুরির এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে মাদারীপুরের ডাসার উপজেলার পূর্ব কমলাপুর গ্রামের ফয়সাল সরদার তাঁর স্ত্রী আয়েশা খানমকে কালকিনির ভুরঘাটা নিরাময় হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল ইসলামের মাধ্যমে আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়। এ সময় গর্ভে দুটি সন্তান রয়েছে বলে জানানো হয়। পরে বিকেলে হাসপাতালের গাইনি চিকিৎসক মুসলিমা জাহান ঐশি ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীকে অস্ত্রোপচার করে একটি ছেলেসন্তান জন্ম নেওয়ার কথা জানান। আরেক সন্তানের কথা জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, একটি সন্তানই হয়েছে।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, আলট্রাসনোগ্রামের রিপোর্ট ভুল ছিল। হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি হয়নি।
ফয়সাল সরদার বলেন, অস্ত্রোপচারের আগেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমার একটি বাচ্চা চুরি করেছে। আমি আরেকটি শিশুকে ফেরত চাই। পাশাপাশি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার চাই।’
হাসপাতালের চিকিৎসক মুসলিমা জাহান ঐশি বলেন, দুটি সন্তান নয়, একটি ছিল আয়েশার গর্ভে। এটা শতভাগ নিশ্চিত। তবে পরিবারের লোকজন ধারণা থেকে দুটি শিশুর কথা বলছেন।
ভুরঘাটা নিরাময় হাসপাতালের তথ্য কর্মকর্তা হান্নান ব্যাপারী বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালের চিকিৎসক বলেছেন, একটি শিশুর কথা। সেই শিশুকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।’
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ভুরঘাটা নিরাময় হাসপাতাল থেকে একটি শিশু চুরি হয়েছে, এমন অভিযোগে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নবজাতকের পরিবারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।