ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
পদ্মা সেতু চালু হওয়ার আগে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজিরহাট নৌপথে ভোগান্তি ছিল নিত্যদিনের। ঈদ উপলক্ষে তা বেড়ে যেত কয়েক গুণ। কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর কোনো রকম ভোগান্তি ছাড়াই নির্বিঘ্নে পার হতে পারছে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহন। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাচঞ্চলের অন্যতম প্রবেশদ্বার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে বেড়েছে ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহনের চাপ। তবে চাপ বাড়লেও নেই কোনো ভোগান্তি।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ঈদে ঘরমুখী যাত্রী ও যানবাহনের যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে একসঙ্গে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিসি, বিআইডব্লিউটিএ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টরা।
ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া পথের বাসচালক আসলাম বলেন, ‘কোনো রকম ঝামেলা ছাড়াই ফেরি পারাপার হলাম।’
রাজবাড়ী থেকে আসা সৌহার্দ্য পরিবহনের চালক আবু সাঈদ বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালুর আগে ঈদের আগে পরে নদী পাড়ি দিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। এখন ঈদের ছুটিতে ঘাট ফাঁকা। নেই যানজট।’
এবার ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহন পারাপারে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা–কাজিরহাট নৌপথে রয়েছে বড়–ছোট ২০টি ফেরি ও ৩০টি লঞ্চ।
মানিকগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান বলেন, ঘাট এলাকা এবং মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিপুলসংখ্যক পুলিশ কয়েক স্তরে কাজ করছেন।
ঈদে ঘরমুখী মানুষ ও যানবাহন পারাপারে পাড়ে সব প্রস্তুতি রয়েছে। নৌপথে পর্যাপ্তসংখ্যক ফেরি থাকার কারণে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে তেমন কোনো সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিসি মানিকগঞ্জ আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ খালিদ নেওয়াজ।
এদিকে সার্বক্ষণিক মেডিকেল ক্যাম্পের পাশাপাশি মলম পার্টি কিংবা কোনো অসাধু চক্র যাতে যাত্রীদের হয়রানি না করতে পারে, তার জন্য ঘাট ও মহাসড়কে মোবাইল কোর্ট নিয়োজিত থাকাসহ সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার।