তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদার প্রথম ও দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টায় ধানমন্ডির বাইতুল আমান মসজিদে প্রথম এবং দুপুর সাড়ে ১২টায় তাঁর কর্মস্থল বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এরপর তাঁর মরদেহ ঢাকার দোহারে নেওয়া হবে। সেখানে জয়পাড়া স্কুল মাঠে বাদ আসর তৃতীয় এবং বাদ মাগরিব সরকারি পদ্মা কলেজ মাঠে চতুর্থ জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন নাজমুল হুদার একান্ত সচিব আক্কাস খান।
গতকাল রাত ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তিনি তাঁর স্ত্রী ব্যারিস্টার সিগমা হুদা এবং দুই মেয়ে অন্তরা হুদা সামিলা ও শ্রাবন্তী হুদা আমিনাকে রেখে গেছেন। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি আইনজীবী হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
নাজমুল হুদার জন্ম ১৯৪৩ সালের ৬ জানুয়ারি। ২০১২ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে তিনি পদত্যাগ করেন। পদত্যাগের সময় দলটির ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী ও তথ্যমন্ত্রী ছিলেন।
১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমান জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দল (জাগদল) গঠন করলে নাজমুল হুদা সে দলে যোগ দেন। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) গঠিত হলে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হন। তিনি ছিলেন দলটির সর্বকনিষ্ঠ স্থায়ী কমিটির সদস্য।
১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করলে নাজমুল হুদা তথ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি যোগাযোগমন্ত্রী ছিলেন।
এক এগারোর পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। ২০১০ সালের ২১ নভেম্বর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। তখন তিনি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। ২০১১ সালের ৫ এপ্রিল তাঁর সদস্য পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে ২০১২ সালের ৬ জুন নাজমুল হুদা বিএনপি থেকে পদত্যাগ করেন।
২০ নভেম্বর ২০১৫ সালে হুদা তৃণমূল বিএনপি নামে আরও একটি নতুন দল গঠন করেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দলটিকে নিবন্ধন দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে নির্বাচন কমিশন।