সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
বৃষ্টির পানিতে ডুবে আছে দেশের ব্যস্ততম শিল্পাঞ্চল সড়ক আশুলিয়ার বেশ কিছু অংশ। টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে পানিতে নেমে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে প্রতিবাদ করেছেন সাভার আশুলিয়ার বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় সড়কের ইউনিক বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পানিতে নেমে এই প্রতিবাদ জানান শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। এদিন সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির ইউনিক, শিমুলতলা ও জামগড়া পয়েন্ট এখনো পানিতে তলিয়ে আছে।
নেতারা বলেন, সড়কের জলাবদ্ধতার প্রধান কারণ খাল বন্ধ, অবৈধ দখল ও নির্মাণ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনা। এ সমস্যা সমাধানে সরকারকে খাল খনন, অবৈধ দখল ও নির্মাণ উচ্ছেদ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমাদের আশুলিয়ায় লাখ লাখ মানুষের বসবাস। আমরা আশুলিয়াকে জলাবদ্ধতামুক্ত দেখতে চাই। যুগের পর যুগ, বছরের পর বছর জলাবদ্ধতা থাকে এই সড়কে। এই অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তারা বিভিন্ন আশ্বাস দিলেও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এবং অপরিকল্পিতভাবে কারখানা ও বসতবাড়ি করার কারণে এবং নয়নজুলি খাল ভরে যাওয়ায় এখানে কৃত্রিম বন্যা হয়ে যায়। এই সড়কের দুপাশের কারখানার বর্জ্য পানির কারণে সড়কে বন্যা হয়ে যায়।
ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্টস ওয়ার্কার্সের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইমন শিকদার বলেন, ‘আমরা আশ্বাস পেলেও সমাধান পাই না। এর জন্য আজকে আমাদের এই প্রতিবাদ। আমরা চাই সরকারের যাঁরা কর্মকর্তা আছেন, তাঁরা উদ্যোগ নিয়ে এই সড়ককে জলাবদ্ধমুক্ত করবেন। আমরা আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। এই অঞ্চলে এত শ্রমিক বসবাস করেন, তাঁরা নোংরা পানি মাড়িয়েই কর্মস্থলে যাচ্ছেন। দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলের এই বেহাল দশা দেখার কি কেউ নেই?’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের আশুলিয়া থানা কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন ঠান্ডু, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অরবিন্দু ব্যাপারী বিন্দু, গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মাহবুব আলম বাচ্চু প্রমুখ।
গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা ২২ ঘণ্টার বৃষ্টিতে ঢাকার প্রবেশপথ আশুলিয়ার এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কের বাইপাইল থেকে জামগড়া পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার পানিতে ডুবে যায়। এতে সড়কে চলাচলকারীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।