রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার এক মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম নীরব ওরফে সাইফুল আলম নীরবসহ ১৯ জনকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মইনুল ইসলাম এই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্যসচিব রফিকুল আলম মজনু, হাবিবুর রশিদ হাবিব, আরিফুল হক আরিফ, খন্দকার এনামুল হক এনাম, মশিউর রহমান বিপ্লব, মো. রেফাত উল্লাহ, আব্দুস সালাম, আলমগীর কবীর, সাইদুর রহমান খোকন, কামাল হোসেন সুমন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সোবহান মিয়া, রাজীব আহসান, আবুল কালাম আজাদ, মো. আলমগীর হোসেন ও আব্দুস সালাম (পিতা কফিল উদ্দিন)।
আসামিদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম নীরবকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মজনুকে কারাগার থেকে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে আদালতে হাজির দেখানো হয়। এই দুজনকে আদালত সাজা পরোয়ানা ইস্যু করেছেন। অন্য আসামিরা পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা অবৈধ সমাবেশ করে পুলিশের ওপর হামলা করেন এবং পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা সৃষ্টি করেন।
এ ঘটনায় পল্টন থানা পুলিশ ১৯ বিএনপি নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করার পর তদন্ত শেষে আদালত ৪৪ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
মামলা চলাকালে আসামি শফিউল বারী বাবু মৃত্যুবরণ করায় তাঁকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বাকি ২৪ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের মামলা থেকে খালাস দেন আদালত। আসামি পক্ষের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।