
সাভারের আশুলিয়ায় আবারও গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কারখানার মালিক, শ্রমিক ও শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে। দগ্ধদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার ৯ দিন আগে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় এ রকম আরেকটি কারখানায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল।
আজ শনিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে আশুলিয়ার বেরন তেঁতুলতলা এলাকায় প্রবাসী দুলালের মালিকানাধীন টিনশেড বাড়িতে বেল্লালের ভাড়া করা গ্যাস সিলিন্ডারের গোডাউনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ডিইপিজেড ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।
দগ্ধরা হলেন গোডাউন মালিক মো. বেল্লাল (৩০), কর্মচারী শরীফুল (২৫) ও তাঁর ছেলে সোহাগ (৯), মাহলাম (২৬) ও নুরনবী (২৮)।
ডিইপিজেড ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মো. ওলিউল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিভানো গেছে। গোডাউনটিতে বড় সিলিন্ডার থেকে ছোট সিলিন্ডারে গ্যাস রিফিল করার আলামত পেয়েছি আমরা। আমরা এখানে গ্যাস রিফিলের মেশিন, ওয়েট স্কেল পেয়েছি। বড়-ছোট মিলিয়ে প্রায় ২০০ সিলিন্ডার ছিল এখানে। এর মধ্যে ছয়-সাতটি সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি। এ ঘটনায় ৫ জন দগ্ধ হয়েছে।’
দগ্ধদের প্রথমে উদ্ধার করে আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। আশুলিয়া নারী ও শিশু হাসপাতালের ব্যবস্থাপক হারুন অর রশিদ বলেন, ‘আমাদের হাসপাতালে পাঁচজন আগুনে পোড়া রোগী এসেছিল। আমরা দুজনকে ওষুধ দিয়ে, ব্যান্ডেজ করে, স্যালাইন দিয়ে ঢাকায় পাঠিয়েছি। আর বাকি তিনজনের শরীরে হাতই দেওয়া যায়নি। পুরো শরীরে ফোসকা পড়ে গেছে। তারা হাসপাতালে কোনো চিকিৎসা নেয়নি। সরাসরি এখান থেকে ঢাকায় চলে গেছে।’
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন বলেন, ‘বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই এখানে সিলিন্ডারের গোডাউন আছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে স্থানীয়রা। আগুনে বাড়ির পাঁচ-ছয়টি কক্ষ পুড়ে গেছে। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
এর আগে গত ৪ মে আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় মিরাজ হোসেন ও রাজীবের মালিকানাধীন একটি কারখানায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে সে সময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।