উপসচিব পুলের কোটা বাতিল, কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিসের বাইরে নিতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের প্রতিবাদে এক ঘণ্টা মানববন্ধন করেছেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের আহ্বানে সারা দেশে বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নিজ নিজ অফিস চত্বরে তাঁরা এই কর্মসূচি পালন করেন। একই দাবিতে ২৪ ডিসেম্বর সারা দেশে এক ঘণ্টার কলমবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা।
আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মানববন্ধন থেকে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। বিগত সময়ের দুর্নীতির নথি গায়েবের জন্য এই ঘটনা ষড়যন্ত্রের অংশ কি না, তা–ও খতিয়ে দেখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
গাইবান্ধা শহরের ডিবি রোডের গানাসাস চত্বরের সামনে গাইবান্ধা আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ মানববন্ধন করেছে। পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ প্রাঙ্গণে বিভিন্ন কলেজের শিক্ষকেরা মানববন্ধনে অংশ নেন। এ ছাড়া বরিশাল বিএম কলেজের সামনের সড়কে, মেহেরপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এবং মাদারীপুর শহরে শকুনি লেকেরপাড়ে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা মানববন্ধন করেছেন।
সিলেটের মুরারি চাঁদ (এমসি) কলেজে প্রধান ফটকের সামনে কলেজশিক্ষকেরা এবং দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তারা মানববন্ধন করেন। এর বাইরে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় মানববন্ধন করেছেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তাঁরা। আর শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করে কমিশনের অধীনে নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের এই সিদ্ধান্তে প্রতিবাদে মাঠে নেমেছেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা। প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাও ২২ ডিসেম্বর সচিবালয়ে নজিরবিহীন অবস্থান কর্মসূচি এবং গত বুধবার বিয়াম মিলনায়তনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। প্রয়োজনে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণার হুমকিও দিয়েছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা।