স্বামীকে তালাক না দিয়েই আবার বিয়ে করার অভিযোগে করা মামলায় তামিমা সুলতানা তাম্মী ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে বিচার চলবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি। আজ মঙ্গলবার এই তারিখ ধার্য করেন ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মেদ।
গত বছর ৯ ফেব্রুয়ারি ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। একই আদেশে তামিমার মা সুমি আক্তারকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
বিচার শুরুর আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত বছর ৬ মার্চ মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন মামলা দায়ের করেন নাসির ও তামিমা। ওই রিভিশন মামলাটি শুনানির জন্য পাঠানো হয় ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে। আজ রিভিশন আবেদনের ওপর পূর্ণাঙ্গ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে আদালত আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি আদেশের দিন ধার্য করেন।
২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমার প্রথম স্বামী মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। ওই দিনই আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। রাকিব মামলার অভিযোগে বলেন, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের আট বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকা অবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তাঁর শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। আসামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তাঁর জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
পরে পিবিআই তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।