তিন বছর আগে মরিশাসে কাজের সুবাদে বাংলাদেশি তরুণ মুস্তাকিন ফকিরের (২৭) সঙ্গে পরিচয় হয় মরিশাসের তরুণী বিবি সোহেলার (২৬)। পরিচয়ের সূত্র ধরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই সম্পর্কের দুই বছরের মাথায় তাঁরা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
বিবাহের দেড় বছর পর ভাষা-সংস্কৃতি, ধর্ম-বর্ণের ভেদাভেদ ভুলে ভালোবাসার টানে গত শনিবার স্বামীর বাড়ি বাংলাদেশের ফরিদপুরে বেড়াতে এসেছেন সোহেলা।
স্বামী মুস্তাকিন ফকির ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামের কৃষক খবির ফকিরের ছেলে।
গত শনিবার সকালে মরিশাস থেকে বাংলাদেশের শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন বিবি সোহেলা। পরে স্বামী মুস্তাকিন তাঁকে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে নিয়ে আসেন। বিদেশি বধূ আসার খবরে প্রতিবেশীরা নববধূকে দেখতে মুস্তাকিনের বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মরিশাসের রাজধানী পোর্ট লুইস শহরের এক মুসলিম পরিবারে জন্ম সোহেলার। সেখানকার একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত আছেন। আর সেখান থেকেই পরিচয় হয় বাংলাদেশি তরুণ মুস্তাকিনের সঙ্গে। ভিনদেশি বধূ ঘরে আসায় খুশির আমেজ বিরাজ করছে মুস্তাকিনের পরিবারে।
এ ব্যাপারে মুস্তাকিনের বাবা খবির ফকির বলেন, তাঁদের সম্পর্ক ও বিয়ের ব্যাপারে তাঁর ছেলে তাঁদের আগেই জানিয়ে ছিলেন। পরে তাঁরা পরিবারের সদস্যরা মিলে বিমানবন্দরে গিয়ে পুত্রবধূ সোহেলাকে গ্রহণ করেছেন।
এ ব্যাপারে মুস্তাকিন ফকির বলেন, সাড়ে তিন বছর আগে তাঁদের প্রথম পরিচয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তিনি ওই দেশের একটি কনস্ট্রাকশন কোম্পানিতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। টানা দুই বছর প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে বিয়ে করেছেন তাঁরা।
মুস্তাকিন জানান, তাঁর স্ত্রী এক মাসের জন্য বাংলাদেশে বেড়াতে এসেছেন।