শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলায় ফাহিম জমাদ্দার (১৮) নামে এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে। বাবার জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একটি ক্লাবের মধ্যে তাঁকে ৪ ঘণ্টা আটকে রেখে নির্যাতন করা হয়।
এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মুন্সিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে নড়িয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের মুন্সিকান্দী এলাকার নুরার মোড়ে বাদল মুন্সির ক্লাবে এ ঘটনা ঘটে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ফাহিম জমাদ্দার নওপাড়া ইউনিয়নের রাজাপুর জমাদ্দারকান্দী গ্রামের সোহরাব জমাদ্দারের ছেলে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মুন্সি ও তাঁর ভাই বাদল মুন্সির সঙ্গে সোহরাব জমাদ্দারের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
বিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে ফাহিমকে ডেকে নিয়ে ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জিম্মি করে ১০-১২ জন মিলে শারীরিক নির্যাতন করে। রড, এসএস পাইপ ও লাঠিসোঁটা দিয়ে তাঁর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন মুন্সি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। তাদের সঙ্গে আমার জমি-সংক্রান্ত কোনো বিরোধ নেই। মাদক ব্যবসা নিয়ে এলাকার লোকজন ফাহিম নামে ওই ছেলেকে মারধর করতে পারে।’
এ বিষয়ে নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘মারধরের ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’