নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুই বছরের বেশি সময় পরে আজ রোববার ঢাকা থেকে কলকাতার উদ্দেশে ফের চলাচল শুরু করেছে মৈত্রী এক্সপ্রেস। সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে ১৬৫ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে গেছে। ট্রেন চলাচল আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার।
এখন থেকে ট্রেনটি সপ্তাহে পাঁচ দিন চলাচল করবে। ট্রেনটিতে মোট আসন রয়েছে ৪৫৬টি। কিন্তু প্রথম দিনেই মৈত্রী এক্সপ্রেসের আসনসংখ্যার অর্ধেকেরও কম ছিল যাত্রী। তবে ট্রেন চালু হওয়ায় ভারতগামী যাত্রীরা আনন্দিত। প্রথম দিনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি হয়েছিল ১৭০টি। নানা কারণে পাঁচজন তাঁদের যাত্রা বাতিল করেছেন।
রাজধানীর বাসাবোর সুস্মিতা দাস পরিবারের সঙ্গে ভারত যাচ্ছেন। ট্রেনে বসে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুই বছর পর আজ মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হওয়ায় আমরা খুশি। অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম ট্রেনটি কবে চালু হবে। ট্রেন চালু হওয়ায় এখন খুব সহজেই ভারতে যাওয়া যাচ্ছে। সেখানে আমাদের আত্মীয়স্বজন আছে, ঘুরতেই যাচ্ছি।’
মৈত্রী ট্রেনটি ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন থেকে বাংলাদেশের দর্শনা বর্ডার হয়ে কলকাতায় যাবে। ২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল মৈত্রী ট্রেন চালু হয়েছিল।
এদিকে মৈত্রী ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, ‘দুই বছরের বেশি সময় পরে এই ট্রেন চালাতে পেরে আমরাও আনন্দিত। এই ট্রেনে ৪৫৬টি সিট রয়েছে। প্রচারণা কম ছিল, ফলে প্রথম দিনে যাত্রী কিছুটা কম হয়েছে। তা ছাড়া ভিসা পাওয়ারও একটা বিষয় থাকে। যাঁরা ট্রেনে ভ্রমণের ভিসা পাবেন না, তাঁরা তো যেতে পারবেন না। এক সপ্তাহের মধ্যেই এই ট্রেনে যাত্রী বাড়বে, তখন আমরা সবাইকে সিট দিতে পারব না। নিরাপদ, আরামদায়ক এবং ভাড়া কম হওয়ায় সবাই ট্রেনে যেতে চায়।’
আগামী ১ জুন নতুন আরেকটি আন্তদেশীয় ট্রেন মিতালি এক্সপ্রেস চালু হবে।