উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২৫টি জেলার বিএনপির নেতা-কর্মীদের আজ বুধবার সকাল থেকেই রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির সমাবেশস্থলের দিকে যেতে দেখা গেছে। বাস, ট্রাক ও ব্যক্তিগত পরিবহনে চেপেই সমাবেশে রওনা দিয়েছেন হাজারো নেতা-কর্মী। তবে সড়কে গণপরিবহনের চাপ কম রয়েছে।
সরেজমিন জানা গেছে, আজ সকাল থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত কোথাও নিরাপত্তা চৌকি বসায়নি পুলিশ। তবে অন্য দিনের চেয়ে সড়কে দূরপাল্লার যানবাহন ও গণপরিবহন তুলনামূলক কম দেখা গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা।
টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গাজী সালাহউদ্দিন মোবাইল ফোনে বলেন, ‘সমাবেশে যেতে রাজধানীর উত্তরায় পুলিশি তল্লাশিতে পড়তে হয়েছিল। পরিচয় গোপন করে নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি ছেড়ে গণপরিবহনে চেপে সমাবেশে যাচ্ছি।’
সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক থাকার কথা জানান টঙ্গীর গাজীপুরা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মো. তারেক। তিনি বলেন, ‘সড়কে গাড়ির চাপ তুলনামূলক কম দেখা গেছে।’
তৈরি পোশাকশিল্প রপ্তানিকারক একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন সৌমিক আহম্মেদ তুষার। তিনি বলেন, ‘টঙ্গীর স্টেশন রোড থেকে ঢাকার কারওয়ান বাজার এলাকায় যেতে লোকাল বাসের অপেক্ষায় আধা ঘণ্টা যাবৎ দাঁড়িয়ে আছি বাসস্ট্যান্ডে। কখন যেতে পারব তা বলতে পারছি না।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপপুলিশ কমিশনার (টঙ্গী অঞ্চল) মেহেদী হাসান দিপু বলেন, নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট রয়েছে। সমাবেশ ঘিরে বাড়তি চেকপোস্ট নেই। তবে কেউ নাশকতা করার চেষ্টা করলে পুলিশ প্রতিহত করবে।