নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে মামলা করা ১৫০ জন গ্রাহকের ১৫ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে। আজ রোববার অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই টাকা ফেরত দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘গত এক মাসে ইভ্যালি ব্যবসা করে কমিশনের মাধ্যমে যে টাকা আয় করেছে, বিভিন্ন খরচ বাদ দিয়ে সেই আয়ের লাভের টাকা থেকে আজ ১৫০ জনের টাকা ফেরত দেওয়া হচ্ছে। গত এক মাসে আমরা ৬৫ হাজার অর্ডারের পণ্য ডেলিভারি করেছি।’
বর্তমানে ক্রেতার প্রতারিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে ইভ্যালির সিইও বলেন, পণ্য হাতে পাওয়ার পর টাকা পরিশোধ করা যাবে। একসঙ্গে সবার টাকা চাইলে এবং বেঁধে রাখলে টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। তবে সঠিকভাবে ব্যবসা করতে দিলে গ্রাহকের পাওনা টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘ইভ্যালির সিইও ২৭ মাস নয়, ২৭ বছর কারাগারে থাকলেও গ্রাহকের টাকা দিতে পারবেন না, তাই তাদের সঠিক পন্থায় ব্যবসা করতে দেওয়া উচিত।’
ভোক্তার মহাপরিচালক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করতে হলে ই-কমার্সের ব্যবসার অগ্রগতি বাড়াতে হবে। তবে তা হতে হবে সঠিক পন্থায়। অনেক ব্যবসায়ী অর্থ পাচার করেছেন এবং দেশের বাইরে পালিয়ে গেছেন। বর্তমানে ভোক্তা অধিদপ্তরে ১১ হাজার মামলা পেন্ডিং রয়েছে।
যেসব ই-কমার্স ব্যবসায়ী গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করছে, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মাধ্যেমে তাদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।