আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি রোধ, নারীর প্রতি অবমাননা বন্ধ এবং ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘সাদা দল’ মানববন্ধন করেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
মানববন্ধনে শিক্ষকেরা মাগুরায় ৮ বছরের শিশু আছিয়াকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন। পাশাপাশি দেশজুড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদ জানিয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেন।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোরশেদ হাসান খান বলেন, ‘একটা জরিপে দেখা গেছে, এ দেশের ৭০ শতাংশ নারী নিরাপত্তাহীনতায় বসবাস করে। মাত্র ৩০ শতাংশ নারী নিরাপদ। অথচ বাংলাদেশে আমরা নারীদের সুরক্ষা দিতে পারছি না। তাই ধর্ষকদের বিরুদ্ধে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও আইজিপিকে সাত দিন সময় দিচ্ছি। এ সাত দিনের মধ্যে শক্তভাবে অবস্থান নিন। না হলে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসব। আমাদের এ প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে।’
অধ্যাপক মোরশেদ আরও বলেন, ‘৫ আগস্টের পর সরকারের প্রতি এত দ্রুত সময়ে আমাদের দাবি নিয়ে দাঁড়াতে হবে, আমরা চিন্তা করি নাই। তারপরও আমাদের দাঁড়াতে বাধ্য করা হয়েছে। আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় আমাদের মা-বোন ও শিশুরা নানা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে, একটা প্ল্যান। আমাদের কন্সপারেসিতে ফেলার জন্য এ কাজ করছে।’
মানববন্ধনে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, ‘সরকারের দায়িত্ব মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। দিন-দুপুরে চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি ইত্যাদি অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। ধর্ষণ-নিপীড়নের মতো ঘটনা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অথচ সরকার এ জায়গায় কিছুই করতে পারছে না।’
অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান আরও বলেন, ‘সম্প্রতি মাগুরার ৮ বছরের শিশু আছিয়ার সঙ্গে যে নৃশংসতা ঘটেছে, তা সবার বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিনিয়ত এমন বহু ঘটনা ঘটছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছি।’
নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে বলে ঘোষণা দিয়ে কলা অনুষদের ডিন আরও বলেন, ‘সরকার আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে না পারলে, আমাদের এ প্রতিবাদ অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজন হলে প্রতিবাদের ভাষা আরও জোরালো করব।’
সাদা দলের শিক্ষকদের এ মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন—দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম সরকার, অধ্যাপক আখতার হোসেন খান, অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, অধ্যাপক লুৎফর রহমান, অধ্যাপক মহিউদ্দিন প্রমুখ।