
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্টিল মিলে চুল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ ইব্রাহিম হাওলাদার (৩৪) মারা গেছেন। এ নিয়ে ঘটনাটিতে একে একে সাতজনই মারা গেলেন। আজ বুধবার সকালে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে মৃত্যু হয় তাঁর।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, ২৮ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৯টার দিকে ইব্রাহিম মারা গেছেন। মৃতদেহটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইব্রাহিমের ভায়রা মো. আল মামুন জানান, তাঁর বাড়ি বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার গজালিয়া গ্রামে। বাবার নাম মৃত মোখলেসুর রহমান হাওলাদার। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে রূপগঞ্জের গাউছিয়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন ইব্রাহিম।
গত বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেল ৪টার দিকে রূপগঞ্জের গাউছিয়া সাউঘাট এলাকার আরআইসিএল স্টিল মিলে লোহা গলানোর ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে গলিত তরল লোহা শ্রমিকদের ওপর ছিটকে পড়লে গুরুতর দগ্ধ হন সাতজন। হাসপাতালে নেওয়ার পথেই মারা যান শংকর নামে একজন। আর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে মারা যান ইলিয়াস। শুক্রবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে নিয়ন, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আলমগীর, দিবাগত রাতে মারা যান রাব্বি। আর শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মারা যান জুয়েল।
ঘটনার দিন কারখানাটির সুপারভাইজার শফিকুল ইসলাম জানান, শ্রমিকেরা কারখানারর ভাট্টিতে লোহা গলানোর কাজ করছিলেন। ভাট্টির আশপাশে ১৫-১৬ জন শ্রমিক ছিলেন। হঠাৎ করেই ভাট্টিতে বিস্ফোরণ হয়ে গলিত লোহা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দগ্ধ হন সাতজন। উদ্ধার করে সঙ্গে সঙ্গে শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয় দগ্ধদের।