যৌতুকের জন্য নির্যাতনের অভিযোগে গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের নামে স্ত্রী অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহার করা মামলার প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার মহানগর হাকিম বেগম ইয়াসমিন আরা আজ সোমবার এই তারিখ ধার্য করেন।
আজ তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই গুলশানারা বানু প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এ কারণে আদালত নতুন তারিখ ধার্য করেন।
গত ৩ জানুয়ারি বনানী থানায় মামলাটি করেন অভিনেত্রী সুবহা। মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছর সেপ্টেম্বরে সুবহার সঙ্গে ইলিয়াসের পরিচয় হয়। এরপর তাঁদের মাঝে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। গত ১ ডিসেম্বর তাঁরা বিয়ে করেন। তখন সুবহার পরিবারের পক্ষ থেকে ইলিয়াসের চাহিদা মোতাবেক ১২ লাখ টাকা মূল্যের রোলেক্স ব্রান্ডের ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার পণ্য দেওয়া হয়। কিন্তু এতেও ইলিয়াস সন্তুষ্ট হননি। স্ত্রীর প্রতি নির্যাতন শুরু করেন।
এরপর সুবহা জানতে পারেন ইলিয়াস আগেও একাধিক বিয়ে করেছেন এবং অসংখ্য প্রেমের সম্পর্ক চলমান। এরই মাঝে ইলিয়াস সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কেনা বাবদ ৫০ লাখ এবং গাড়ির জন্য আরও ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। এ ছাড়া গত ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কেনার জন্য সুবহার মায়ের কাছে আরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ইলিয়াস। তাঁকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার। পরবর্তীতে গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার জন্য ৮০ লাখ টাকা চান ইলিয়াস। এ নিয়ে তাঁদের মাঝে ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে সুবহাকে শারীরিক নির্যাতন করেন ইলিয়াস।
পরদিন আবারও ৮০ লাখ টাকা যৌতুক চান ইলিয়াস। সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে, সুবহাকে কিল, ঘুষি, লাথি ও চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালের সঙ্গে ঠুকে আহত করেন ইলিয়াস। এরপর তিনি সুবহাকে ব্যথার ওষুধ বলে অন্য ওষুধ খাওয়ান।
এতে কিছুক্ষণ পর সুবহা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সেই সুযোগে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান। সুবহার অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।