নারায়ণগঞ্জ শহরে পুলিশ ও বিএনপির সংঘর্ষ চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া শাওন প্রধান (২৩) ছাত্রদল নাকি যুবদল কর্মী তা নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যুবদল নেতা সাদেকুর রহমান সাদেকের নেতৃত্বে একটি মিছিলের সামনের সারিতে রয়েছেন শাওন।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপির ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত র্যালিতে অংশ নেন শাওন। এরপর পুলিশি বাধা ও পরবর্তীতে সংঘর্ষ শুরু হলে সেখানে গুলিবিদ্ধ হন শাওন। নেতাকর্মীরা দ্রুত তাঁকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করে।
শাওন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার বক্তাবলী ইউনিয়নের গোপালনগর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সাহেব আলীর ছেলে। এ ছাড়া ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত আলীর ভাতিজা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চেয়ারম্যান শওকত আলী নিজেই।
ফতুল্লা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ এ নেতা বলেন, ‘শাওন আমার চাচাতো ভাই সাহেবের ছেলে। সে কোনো দলের পদ পদবিতে ছিল না। রাজনীতিতেও তেমন সক্রিয় ছিল না। এখন যদি ভেতরে-ভেতরে কোনো দলকে সমর্থন করে সেটা তো আমি বলতে পারব না। কীভাবে বা কার সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ শহরে গেল আমি সেই খোঁজ নিচ্ছি। আমার জানা মতে, তার বিএনপি করার কথা না। আমি এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।’
শাওনের বড় ভাই ফরহাদ প্রধান বলেন, ‘আমার ভাই কোনো রাজনীতি করত না। কেউ তারে আজকে সকালে শহরে ডেকে আনে এটুকুই জানি। এখন শুনি ও নাকি যুবদলের মিছিলে গেসিল।’
প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, যুবদল নেতা সাদেকুর রহমান সাদেকের নেতৃত্বাধীন মিছিলে সামনের সারিতে আছেন শাওন। যখন সংঘর্ষ শুরু হয়, সেখানেও ইট পাটকেল সংগ্রহ করে পুলিশের দিকে ছুড়তে দেখা যায় শাওনকে। ফেসবুকে সম্প্রচারিত লাইভ ভিডিওতে শাওনের উপস্থিতি ও পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়তে দেখা গেছে।’
নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্যসচিব মশিউর রহমান রনি বলেন, ‘শাওনের যেই ছবিটি প্রকাশিত হয়েছে সেটা কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য সাদেকুর রহমান সাদেকের মিছিল। ফলে বলাই যায়, সে সাদেক ভাইয়ের কর্মী ছিল।’
একই বিষয়ে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি শাহেদ আহমেদ বলেন, ‘শাওন যেই মিছিল ছিল সেটা কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সদস্য সাদেক ভাইয়ের নেতৃত্বে এসেছিল।’