Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > ঢাকা

চুক্তির মেয়াদ শেষ, ঝুলে আছে সেতু

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

চুক্তির মেয়াদ শেষ, ঝুলে আছে সেতু

কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘোড়াউত্রা নদী পারাপারে মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। ৪৩ কোটি ৩৭ লাখ ৮১ হাজার টাকা ব্যয়ে ৩৬২ মিটার গার্ডার সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি কাজ শেষে সেতুটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল; কিন্তু চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আরও পাঁচ মাস পার হলেও শেষ হয়নি নির্মাণকাজ। এতে ভোগান্তিকে সঙ্গী করেই নদী পারাপার হতে হচ্ছে স্থানীয়দের। দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করে সেতুটি খুলে দেওয়ার দাবি স্থানীয়দের।

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কাজীপাড়া, মইষারকান্দিসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে নানা প্রয়োজনে উপজেলা সদরে যেতে ঘোড়াউত্রা নদী পার হতে হয়। এ ছাড়া মিঠামইন কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও নদী পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাঁদের। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে ও রাতে নদী পারাপারে দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, পল্লি সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এমএম বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও মেসার্স মমিনুল হক (জেবি) নির্মাণকাজ শুরু করে। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি সেতুটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতিতে চুক্তির মেয়াদ শেষের পাঁচ মাস পরও শেষ হয়নি সেতুর নির্মাণকাজ।

বুধবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সেতুটির খৈলাপাড়া প্রান্তে চলছে সংযোগ সড়ক পাকা করার কাজ। কাজীপাড়া প্রান্তে চলছিল সেতুর গার্ডার ও রেলিং পিলারে ঢালাইয়ের কাজ। সংশ্লিষ্টরা জানান, পরিবেশ অনুকূলে থাকলে আগামী ডিসেম্বর মাসে নির্মাণকাজ শেষ হবে।

উপজেলার কাজীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ও মিঠামইন বাজারের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘রাতে নদীতে নৌকা না থাকায় চিকিৎসার অভাবে বুধবার এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। নদী পারাপারে ভোগান্তির শেষ নেই।’

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মমিনুল হকের পক্ষে সাব-কন্ট্রাক্টর মোহাম্মদ বাবুল বলেন, ‘করোনার সময় কাজ শুরু হয়েছিল, তাই ঠিকমতো শ্রমিক পাওয়া যায়নি। ফলে কিছুটা সময় লেগেছে। আমরা চেষ্টা করছি ডিসেম্বর নাগাদ কাজ শেষ করার।’

প্রকল্পের ম্যানেজার আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুর একটি গার্ডার ও দুটি স্ল্যাব ঢালাই বাকি রয়েছে। আশা করছি আগামী জুলাই মাসে ঢালাইয়ের কাজ শেষ হবে। অন্যান্য কাজ শেষে ডিসেম্বরের আগেই সেতুটি হস্তান্তর করা যাবে।’

মিঠামইন উপজেলা প্রকৌশলী ফয়জুর রাজ্জাক দাবি করেন, ‘জমি অধিগ্রহণ ও শ্রমিকসংকটের কারণে সেতু নির্মাণে কিছুটা সময় লেগেছে। ইতিমধ্যে মূল সেতুর ৯৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আশা করছি জুলাই মাসের শেষ নাগাদ ব্যবহারের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করা যাবে।’ 

রানা প্লাজায় আন্তর্জাতিক সংস্থাকে উদ্ধারকাজ করতে দেয়নি আ.লীগ: আখতার হোসেন

সাবেক সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়সহ ৪ ভাইয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

ঘুষের অভিযোগে দুদকের ফাঁদ অভিযান, ডিএসসিসির ওয়ার্ড সচিব গ্রেপ্তার

পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে যুবককে গলা কেটে হত্যা

রূপনগরে অবৈধভাবে নির্মিত ৮টি গেট গুঁড়িয়ে দিয়েছে ডিএনসিসি

শ্বশুরকে জামাতার ফোন: ‘আপনার মেয়েকে মাইরা ফেলছি, লাশ নিয়ে যান’

শিক্ষার্থীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ, জবি রেজিস্ট্রারকে পদত্যাগে আলটিমেটাম

ডিএমপির সাবেক উপকমিশনার তানভীর ইমন সাময়িক বরখাস্ত

নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক ঢুকে গেল বসতঘরে, প্রাণ গেল ঘুমন্ত নারীর

ভবিষ্যৎ স্থপতিদের অনুপ্রাণিত করতে ‘কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড’