কারাগারে থাকা যশোরের যুবদল নেতাকে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরিয়ে হাসপাতালে নেওয়ার বিষয়ে করা রিটের শুনানি শেষ হয়েছে। এই বিষয়ে আজ সোমবার আদেশ দেবেন হাইকোর্ট। আজ রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চে এই বিষয়ে শুনানি হয়।
এর আগে গণমাধ্যমে প্রকাশিত এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন গত বুধবার এই বেঞ্চের নজরে আনেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। ওই দিন হাইকোর্ট বলেন, এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের একাধিক সিদ্ধান্ত রয়েছে। ডান্ডাবেড়ি পরানোর বিষয়ে গাইডলাইন আছে। আদালত সুয়োমোটো আদেশ না দিয়ে প্রয়োজনে তাঁদের রিট নিয়ে যেতে বলেন। সে অনুযায়ী যুবদল নেতা আমিনুর রহমানের স্ত্রী নাহিদ সুলতানা এই রিট করেন।
রিটে আমিনুরকে ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসার বৈধতা নিয়ে রুল চাওয়া হয়। এ ছাড়া তাঁর সুচিকিৎসার জন্য ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতাল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় বা সমমানসম্পন্ন ঢাকার অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে পাঠানোর জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয় আবেদনে।
রোববার দুপুরে ২টার পর রিটটি শুনানির জন্য ওঠে। শুরুতেই রিটকারীর আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদসহ মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত বিষয় পড়ে শোনান।
আদালতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় দাঁড়িয়ে বলেন, ‘আমরা কপি পাইনি।’ এ সময় আদালত বলেন, ‘ঠিক আছে বসেন। আপনাদের শুনব।’
এজে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘এই বিষয়ে উচ্চ আদালতের গাইডলাইন রয়েছে।’ তিনি আমিনুরের কলেজের শিক্ষক পরিচয় তুলে ধরে বলেন, ‘তিনি (আমিনুর) যশোর যুবদলের সহসভাপতি—দোষটা হলো এখানে। মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধেও মামলা হচ্ছে। সরকার কবরের আজাব দিতে পারে কি না এটা আমি জানি না।’ এ সময় উপস্থিত আইনজীবীরা সবাই হেসে ওঠেন।
এজে মোহাম্মদ আলী আরও বলেন, ‘জেল কোড ১০০ বছর আগের।’ এ সময় আদালত বলেন, ‘এখন কেন? সাতচল্লিশে কিছু করলেন না। পাকিস্তান হলো, বাংলাদেশ হলো এখনো পর্যন্ত আপনারা এটা পরিবর্তন করলেন না। এখন বলে লাভটা কি? ৫২ বছরে কত দল গেল আসল। কেউ তো এই জিনিসটা পরিবর্তন করলেন না।’
পরে আদালত সোমবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করে দেন।