ঢামেক প্রতিবেদক
রাজধানীর বনানীর বাসায় বাথরুমে ধূমপান করতে লাইটার বিস্ফোরণে দগ্ধ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নাতি বাবুল কাজীর অবস্থার অবনতি হয়েছে। তাঁকে জাতীয় বার্ন প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। গতকাল তাঁর চিকিৎসার জন্য ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়।
আজ রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান। তিনি বলেন, ‘বাবুল কাজীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় গতরাতে (শনিবার) তাঁকে আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টে দেওয়া হয়েছে। তবে প্রথম থেকেই তিনি আইসিইউতে ছিলেন।’
গতকাল শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বনানী ২৩ নম্বরের ১০৯ নম্বর রোডের এ ব্লকের বাসায় এমন ঘটনার শিকার হন বাবুল কাজী। দগ্ধ অবস্থায় স্বজনেরা তাঁকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করে।
বার্ন ইনস্টিটিউটে আসা বাবুল কাজীর বড় বোন খিলখিল কাজী বলেন, ‘বাবুল কাজীর বাসা বনানীর ২৩ নম্বর রোডে। সেখানে স্ত্রী কাজী নাদীরা ফারজানা ও দুই ছেলে এক মেয়েকে নিয়ে থাকে। বাবুল কাজী গার্মেন্টসের ব্যবসা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাবুল কাজীর ধূমপানের অভ্যাস ছিল। ভোরে বাথরুমে গিয়ে গ্যাস লাইট দিয়ে সিগারেট ধরাতে গিয়ে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়। ধারণা করা হচ্ছে-বাথরুমে মিথেন গ্যাস থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ হয় বাবুল কাজী। ২০১৫ সালে বাবুলের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে। চিকিৎসকেরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। মেডিকেল বোর্ড গঠন করে বাবুলের চিকিৎসা দিচ্ছে।’
এর আগে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. মো. মারুফুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে বাবুল কাজীকে দগ্ধ অবস্থায় স্বজনেরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁর শরীরের ৭৪ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে এবং শ্বাসনালির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগে বাবুল কাজীর লিভার ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে। তাঁর সার্বিক চিকিৎসার জন্য ১৬ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।