নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে ছাদ কৃষির প্রদর্শনী করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। আজ মঙ্গলবার গুলশান ডিএনসিসি নগর ভবন মিলনায়তনে ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় রিবেটযোগ্য ছাদবাগানকারী/বৃক্ষরোপণকারীদের যোগ্যতা ও বাছাই পদ্ধতি নির্ধারণ সম্পর্কিত নীতিমালা প্রণয়নবিষয়ক এক সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
আগামী নভেম্বরে প্রদর্শনীর আয়োজন করার জন্য ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেন ডিএনসিসি মেয়র। ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ‘ঢাকায় বাগান বা কৃষির জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। অতএব ছাদই কৃষির জন্য একটি বড় ক্ষেত্র হতে পারে। কোনো ছাদে বাগান বা কৃষি থাকলে সেই ছাদে উঠতে ভালো লাগে। এর মাধ্যমে তাজা ফলমূল ও শাকসবজি পাওয়া যায়। এটি বিল্ডিংয়ের তাপমাত্রা কমাতেও সহায়তা করে। ছাদ কৃষি পরিবেশ রক্ষা ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণেও ভূমিকা রাখে। ঢাকায় অনেকে ছাদ কৃষি করছে। আরও উৎসাহিত করতে আমরা ছাদ কৃষি নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করব।’
আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ছাদবাগান করলে ১০% করছাড়ের ঘোষণা দিয়েছিলাম। আমাদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় সকল সিটি করপোরেশনের জন্য পরিকল্পিত ছাদবাগানের ওপর করছাড়ের অনুমোদন দিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের নিয়ে নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে। রিবেটযোগ্য ছাদবাগানকারী/বৃক্ষরোপণকারীদের যোগ্যতা ও বাছাই পদ্ধতি নির্ধারণসংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়ন হলে হোল্ডিং ট্যাক্স ছাড় পাবেন নগরবাসী।’
সভায় উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ। তিনি বলেন, ‘ছাদে নিজের চাষ করা উৎপাদিত সবজি ও ফলমূলের গুরুত্ব মানুষের কাছে অনেক বেশি। এটি মানুষের জন্য অত্যন্ত আনন্দের বিষয়। ছাদ কৃষিতে উৎপাদিত সবজি খাওয়ার পাশাপাশি অনেকে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছে। সিটি করপোরেশন ছাদ কৃষির ওপরে ট্যাক্স রিবেট দিলে এটি হবে নগরবাসীর জন্য সম্মানের। ছাদ কৃষি নিয়ে প্রদর্শনী দারুণ উদ্যোগ। আমার আহ্বান থাকবে, সিটি করপোরেশন যেন পরবর্তীকালে ছাদ কৃষি নিয়ে এলাকাভিত্তিক প্রদর্শনী করার উদ্যোগ নেয়।’
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, সচিব মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক, প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগে. জেনা. মো. মঈন উদ্দিন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক কে জে এম আব্দুল আউয়াল, ডিএনসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মাহে আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল বাকী প্রমুখ।