নাশকতার একটি মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মকবুল হোসেন টিপুসহ বিএনপি-জামায়াতের ১০ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এই রায় দেন।
সাজাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন আব্দুল কাদের, রফিকুল ইসলাম ওরফে ময়না, ওমর নবী ওরফে বাবু, জাবের হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মো. সালেহ, মাহমুদ হোসেন ওরফে রবিন, মো. লিটন ও মাহবুবুর রহমান।
রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা আসামিরা কেউ আদালতে হাজির হননি। তাঁদের পলাতক ঘোষণা করে রায় দেওয়া হয়। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন আদালত। আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর অথবা আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর এই রায় কার্যকর হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী রায়ের বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি মকবুল হোসেন টিপু ওরফে কমিশনার টিপু, আব্দুল কাদের, রফিকুল ইসলাম ওরফে ময়না, ওমর নবী ওরফে বাবুকে আড়াই বছর কারাদণ্ড এবং দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন। জরিমানা অনাদায়ে তাঁদের আরও সাত দিনের বিনাশ্রম কারাভোগ করতে হবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।
এ ছাড়া এ মামলায় আসামি জাবের হোসেন, সাইফুল ইসলাম, মো. সালেহ, মাহমুদ হোসেন ওরফে রবিন, মো. লিটন ও মাহবুবুর রহমানকে দণ্ডবিধির দুটি ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর ভোর ৮টার দিকে ১৮ দলীয় জোটের ১২ থেকে ১৩ জন কর্মী হত্যার জন্য পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সে সময় ইটের আঘাতে গাড়ির গ্লাস ভেঙে যায় এবং ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা বেআইনি জনতাবদ্ধে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠিসোঁটা, ইট-পাটকেল ও পেট্রল ছিটিয়ে আগুন জ্বালিয়ে এক লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর পুলিশের গাড়ির ড্রাইভার হেমন্ত কুমার রায় বাদী হয়ে রাজধানীর গেণ্ডারিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ তদন্ত শেষে ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।