মো. মাসুম, টঙ্গীবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ)
বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের কবলে পড়ে মুন্সিগঞ্জের টঙ্গীবাড়ী উপজেলার অনেকের বসতভিটা, ঘরবাড়ি ও মসজিদ বিলীন হয়ে গেছে। এখন শুষ্ক মৌসুমেও উপজেলার গৌরগঞ্জ খাল তথা-বালিগাঁও ডহরী খালপাড়ে ভাঙনের মুখে রয়েছে মসজিদ-ঘরবাড়ি।
উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের গোয়ারা গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গোয়ারা ভাঙন কবলিত এলাকায় তিনটি মসজিদ, একটি পুরুষ মাদ্রাসা, একটি মহিলা মাদ্রাসা, একটি কবরস্থান ও একটি প্রাইমারী স্কুল রয়েছে, যার সব কয়টিই খালের তীরবর্তী স্থানে অবস্থিত। স্কুলটিতে পার্শ্ববর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের ছাত্র-ছাত্রীরা পড়াশোনা করে। এ ছাড়া মাদ্রাসাটিতে দেশের দুর-দুরান্ত থেকে এসেও শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, প্রায় ১ শত ঘরবাড়ি বর্ষা মৌসুমে বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের পানিতে তেমন কোনো স্রোত নেই। কিন্তু রোদের তাপে মাটি ফেটে ভেঙে পড়ছে। এতে আতঙ্কে দিন পার করছেন খালপাড়ের বাসিন্দারা। এখন যদি বাঁধের আওতায় আনা যায়, তাহলে হয়তো বর্ষাকালে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা পাবে এখানে বসবাসকারীদের বসতভিটা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।
আল-আমিন বলেন, এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো যদি ভাঙনের স্বীকার হয়, তাহলে প্রাণহানির মত দুর্ঘটনা ঘটারও আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম পিন্টু বলেন, বর্ষা মৌসুমে জোয়ারের পানিতে খাল যখন পরিপূর্ণ হয়, তখন অনেকটা নদীর মতই রূপ ধারণ করে। এই খালে অনেক মানুষ তাঁদের বসতভিটা হারিয়েছে। এখন শুকনা মৌসুমেও ভাঙন থেমে নেই। জানি না আগামী বর্ষায় কি অবস্থা হয়। তবে আগে থেকে একটা ব্যবস্থা নিলে এলাকাবাসীর আতঙ্কের পরিমাণ কিছুটা কমে যেত।
স্থানীয় ভুক্তভোগী জনসাধারণের দাবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বাংলাদেশ সরকার যেন এই ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মাণ করে ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী সুব্রত দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি এ বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব। জুন-জুলাই মাসে আমরা জরুরি ভিত্তিতে কাজগুলো করে থাকি। সরেজমিনে গিয়ে দেখে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’