ঢাকার আশুলিয়ায় রিকশা বিক্রির কথা বলে এক রিকশাচালককে ডেকে নেন এক ব্যক্তি। রিকশা দেখতে হাজির হলে চালককে চোর আখ্যা দিয়ে পুলিশ সাজে চক্রের অন্য সদস্যরা। এরপর মারধর করে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে। এই চক্রের ৩ সদস্যকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আজ বুধবার সকালে আশুলিয়া থানা থেকে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে আশুলিয়ার নিরিবিলি বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪। পরে তাদের আশুলিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মানিকগজ্ঞ জেলার দৌলতপুর থানার মো. নান্নু মিয়া (৩৩), বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার কবির হোসেন জমাদ্দার (৪২), ঢাকার আশুলিয়া থানার আনিস আলী (৩২)। এ সময় তাদের সঙ্গে থাকা কামরুল ইসলাম (৩২) নামে আরেক সহযোগী পালিয়ে যায়। তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী রিকশাচালক মো জুয়েল রানা আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তিনি একটি রিকশা কিনতে চেয়েছিলেন। এই কথা জানতে পেরে তাকে একটি রিকশা দেখানোর কথা বলে ডেকে নেয় গ্রেপ্তারকৃতরা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিরিবিলি স্ট্যান্ড এলাকায় চালকসহ একটি অটোরিকশা দেখতে পায় জুয়েল রানা। পরে জুয়েলের হাতে ওই রিকশার চাবি দিয়ে তাকে চোর বলে আখ্যা দেওয়া হয়। এ সময় আশপাশে থাকা সেই চক্রের সদস্যরা পুলিশ পরিচয়ে জুয়েলকে থানায় নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়। এ ছাড়া মারধর করে জুয়েলের কাছে থাকা সব টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় তারা। পরে তাদের কথাবার্তায় সন্দেহ হলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের আইডি দেখতে চাইলে তারা কোনো পরিচয় পত্র দেখাতে পারেননি। পরে র্যাবকে খবর দিলে র্যাবের টহল দল এসে তাদের আটক করে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শেখ আবজালুল হক বলেন, ‘আসামিরা কখনো আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্য কখনোবা সাংবাদিক পরিচয়ে অপকর্ম করে আসছিল। আসামি নান্নুর কাছে একটি পত্রিকার পরিচয় পত্র পাওয়া গেছে। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।’