শ্যামপুর-কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী থানার গেটের সামনে তিনটি লাশ পড়ে ছিল। গতকাল সোমবার মধ্যরাত থেকে আজ মঙ্গলবার বেলা ২টা পর্যন্ত থানার গেটের সামনে তিনটি লাশ দেখা গেছে। এর মধ্যে দুটি পুলিশের ও একটি হাতকড়া পরা যুবকের। পরে বিকেলে লাশগুলো নিয়ে যাওয়া হয়। যাত্রাবাড়ী থানা ও দুটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স আন্দোলনকারীদের দেওয়া আগুনে পুড়ে গেছে। এখনো আন্দোলনকারীরা থানায় অবস্থান করছেন। থানায় ও ট্রাফিক পুলিশ বক্সে কোনো পুলিশ সদস্য নেই।
আজ বেলা ৩টার দিকে যাত্রাবাড়ী গিয়ে দেখা যায়, থানার ভেতরে ও বাইরে শত শত আন্দোলনকারী ও উৎসুক জনতা। তাঁরা থানা দখল করে রেখেছেন। গতকাল সোমবার বেলা দেড়টার দিকে কারফিউ চলাকালীন যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় অবস্থান নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। তখন এখানে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতি ছিল। কিন্তু উভয় পক্ষ ছিল শান্ত। হঠাৎ বেলা আড়াইটার দিকে আন্দোলনকারীরা পাশের যাত্রাবাড়ী থানায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তখন পুলিশ আন্দোলনকারীদের প্রতি ছররা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। তাতে কয়েকজন আহত হন।
এদিকে বেলা ৩টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের খবর শুনে উল্লাসে ফেটে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানায় আগুন দেন আন্দোলনকারীরা। তখন থানা থেকে বের হতে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্য নিহত হন। এরপর অনেক পুলিশ সদস্য আন্দোলনকারীদের কাছে আত্মসমর্পণ করে বের হতে সক্ষম হন। যদিও আগুন বেশিক্ষণ ছিল না। গতকাল রাত ৮টা পর্যন্ত সাত-আটজন পুলিশ সদস্য নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।