নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের কোন কোন আদালতে (অধস্তন আদালতের এজলাসকক্ষ) এখনো লোহার খাঁচা রয়েছে, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইনসচিবকে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালতের এজলাসকক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে গত বছরের ২৩ জানুয়ারি ১০ আইনজীবী রিট করেন। ওই সময় দেশের কোন কোন আদালতের ভেতরে লোহার খাঁচা রয়েছে, সে বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই ধারাবাহিকতায় বিষয়টি শুনানির জন্য ওঠে।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মণির। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান। শিশির মণির বলেন, কোনো সভ্য সমাজে লোহার খাঁচার পদ্ধতি নেই। নিরাপত্তার জন্য অন্য ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কাউকে লোহার খাঁচায় রাখা যাবে না। এটি মানবাধিকারের লঙ্ঘন।