গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর কোনাবাড়ী জোনাল অফিসের সাবস্টেশনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে শিল্প এলাকাটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে কোনাবাড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগে পাওয়ার স্টেশনের একটি ট্রান্সফরমার পুড়ে যায়। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে ওই এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয় সংলগ্ন পাওয়ার স্টেশনে বিকেল পৌনে ৫টার দিকে আগুন লাগার খবর পাই। খবর পেয়ে কোনাবাড়ী ফায়ার স্টেশনের দুইটি ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে এবং সোয়া ৫টার দিকে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।’
তিনি বলেন, ‘আগুনে পাওয়ার স্টেশনের একটি ট্রান্সফরমার পুড়ে গেছে। তবে স্টেশনের আর কোথাও আগুন ছড়াতে পারেনি।’
স্থানীয়রা জানান, গাজীপুর মহানগরীতে পল্লী বিদ্যুতের কোনাবাড়ী পাওয়ার স্টেশনের একটি ট্রান্সফরমারে হঠাৎ করেই অগ্নি স্পেলিংগ দেখা দেয়। পরে ট্রান্সফরমারটিতে আগুন ধরে যায়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি কোনাবাড়ী আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ মহা-ব্যবস্থাপক কামাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে পাওয়ার স্টেশনের পাঁচটি ট্রান্সফরমারের মধ্যে একটিতে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। কোনাবাড়ী মডার্ন ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, ‘এই পাওয়ার স্টেশনে মূলত বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখানে ১০ এমবিএ ক্ষমতা সম্পন্ন পাঁচটি ট্রান্সফরমার রয়েছে। এগুলো দিয়ে কোনাবাড়ী শিল্প এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
কামাল হোসেন আরও বলেন, ‘সন্ধ্যার আগেই চারটি ট্রান্সফরমারের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে। পুড়ে যাওয়া ট্রান্সফরমারের ফিডারে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করতে ২ ঘন্টা লাগতে পারে। পরবর্তীতে লোড ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে অন্য এলাকায় লোডশেডিং বাড়িয়ে পুড়ে যাওয়া ট্রান্সফরমারের ফিডারের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে। পুড়ে যাওয়া ট্রান্সফরমারটি একটু পুরোনো হয়ে গিয়েছিল। এটির মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা।’