পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেছেন, ‘এটির ব্যাখ্যা করার এখতিয়ার আমি রাখি না। এটা কমিশনের ব্যাপার। কমিশনার জহুরুল হক একটি বক্তব্য দিয়েছেন। সব তথ্য-উপাত্ত যদি হাতে আসে এবং এটি যদি বিশ্বাসযোগ্য হয়, তাহলে বেনজীর হউক আর যে-ই হউক, দুদক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। ব্যক্তি এখানে মুখ্য বিষয় না।’
আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
পত্রিকায় যেভাবে এসেছে, বিষয়টি অ্যালার্মিং কি না–এমন প্রশ্নে দুদক আইনজীবী বলেন, ‘এর সত্যতা যাচাই করতে হবে, এক্সামিন করতে হবে, ডেটা অ্যানালাইসিস করতে হবে। পত্রিকা আমাদের একটি বিশেষ সোর্স। কিন্তু পত্রিকার অ্যনালাইসিস কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য আমাদের দেখতে হবে। তারপর দুদকের হাতে যে তথ্য-উপাত্ত থাকবে অবশ্যই দুদক সে অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
অন্য অনেক বিষয়ে কমিশনের তৎপরতা দেখা গেলেও বেনজীরের বিষয়ে ধীরগতিতে এগোচ্ছে–এমন প্রশ্নে দুদক আইনজীবী বলেন, ‘তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতেও তো সময় লাগে। আমাদের হাতে কোনো জিন-পরী নেই, আজকে আসল, কালকে ফুঁ দিয়ে দিলাম। আমাদের অপেক্ষা করতে হবে, ডেটা কালেকশন করতে হবে, দেখতে হবে বিশ্বাসযোগ্য কোনটা। এখানে ব্যক্তি মুখ্য না, মুখ্য হলো ডেটা। ডেটা অ্যানালাইসিস করতে হবে আমাদের।’
উল্লেখ্য, সাবেক পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদের অনিয়ম-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে সম্প্রতি দুই পর্বের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দৈনিক কালের কণ্ঠ। এর পর থেকেই আলোচনায় আসেন সাবেক এই পুলিশপ্রধান।